সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা পুরো ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় তারা ‘আমি কে তুমি কে বাংলাদেশি বাংলাদেশি’, ‘ধর্মের নামে হানাহানি, বন্ধ করো বন্ধ করো’, ‘প্রটেক্ট মাইনোরিটি, প্রটেক্ট ডেমোক্রেসি’ এসব স্লোগান দেন।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট বিভাগের শিক্ষার্থী সৌহার্দ্য দেব বলেন, ‘বাংলাদেশ সবার। এখানে সবার সমানভাবে বাঁচার অধিকার রয়েছে। কিন্তু বারবার সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে হামলা চালানো হচ্ছে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি—আপনারা দ্রুত এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিন।’
শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, ‘সনাতনীসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ওপর বারবার পরিকল্পিত হামলা হচ্ছে। অথচ সরকার সময়মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি—যারা এসব হামলা ও উসকানিমূলক মব গঠন করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।’
শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘হাজার বছর ধরে এ দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। কিন্তু বর্তমানে সংখ্যালঘুদের নানা ট্যাগ দিয়ে তাদের ওপর অত্যাচার ও মব প্রচারের চেষ্টা চলছে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকার এবং ভবিষ্যতের সরকারকে বলবো—যারা সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে কিংবা মব গঠন করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’
সমাবেশে জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, ‘আমাদের মুসলিম ধর্মের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন প্রত্যেক ধর্মাবলম্বীকে স্বাধীনভাবে তার ধর্ম পালনের অধিকার দিতে হবে। আমরা গত ১৭ বছর ধরে দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার চিত্র দেখছি। কিন্তু মনে রাখতে হবে ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। সবার স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত এই হামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার নিশ্চিত করা।’
প্রতিবাদ সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন