চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার বলেছেন, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটা রিহার্সাল হিসেবে বিবেচিত হবে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে চাকসু নির্বাচন উপলক্ষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার বলেন, সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করে সুশৃঙ্খলভাবে এই নির্বাচনের আয়োজন করেছি। প্রচারণার সময় চমৎকারভাবে প্রচারণা হয়েছে। কাউকে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি। তারা নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ বজায় রেখেছে। এটা জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটা অনুকূল পরিবেশ তৈরির এবং রিহার্সাল হিসেবে বিবেচিত হবে।
তিনি বলেন, আমরা সবসময় শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখেছি। বৃত্ত ভরাট করার ব্যবস্থা রেখেছি কারণ ক্রস দেওয়া থাকলে অনেক সময় অনেক রকম অসুবিধা হতে পারে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে আজ ৩৫ বছর পর ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ১৯৯০ সালে সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটার ও পদসংখ্যা বিবেচনায় একজন শিক্ষার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি পদে ভোট দিতে হবে প্রত্যেক ভোটারকে। অর্থাৎ গড়ে প্রতি ১৫ সেকেন্ডে একটি করে ভোট প্রদানের হিসাব করা হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী। অন্যদিকে ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৯৩ জন। তাদের মধ্যে নারী মাত্র ৪৭ জন। প্রতিটি হলে রয়েছে ১৪টি করে পদ। নির্বাচনে মোট ভোটার ২৭ হাজার ৫১৮ জন। এদিন বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষে ওএমআর পদ্ধতিতে গণনা শুরু হবে। হল সংসদের ফল ভোটকেন্দ্রেই ঘোষণা করা হবে। আর কেন্দ্রীয় সংসদের ফল ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে ঘোষণা করা হবে।
মন্তব্য করুন