চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেছেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য সাধারণত জার্মানি থেকে অমোচনীয় কালি আনা হয়। নির্বাচনের পরে তা আবার ধ্বংসও করা হয়। ফলে অমোচনীয় কালি পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় চাকসু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটারের আঙুলে অমোচনীয় যে কালি দেওয়া হচ্ছে, তা এক ঘষাতেই উঠে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে।
কালি উঠে যাওয়া প্রসঙ্গে মনির উদ্দিন বলেন, এটি কোনো সমস্যার সৃষ্টি করবে না। কয়েক ধাপে ভোটারদের পরিচয় শনাক্ত করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেছেন, অনেকে আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন—অমোচনীয় কালি ব্যবহারের কথা থাকলেও ভোট প্রদানের পর আঙুলে দেওয়া কালি মুছে যাচ্ছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি ভবন কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে এ কথা জানান তিনি।
হৃদয় বলেন, আমাদের কাছে কয়েকজন ভোটার অভিযোগ করেছেন—ভোট দেওয়ার পর আঙুলে দেওয়া কালি কিছুক্ষণ পরই মুছে যাচ্ছে। নতুন কলা অনুষদের কয়েকজন ভোটারও এ অভিযোগ করেছেন। আমরা তাদের বিষয়টি ভিডিও করে রাখার পরামর্শ দিয়েছি এবং বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করব।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে আজ ৩৫ বছর পর ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। ১৯৯০ সালে সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ভোটার ও পদসংখ্যা বিবেচনায় একজন শিক্ষার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে মোট ৪০টি পদে ভোট দিতে হবে প্রত্যেক ভোটারকে। অর্থাৎ গড়ে প্রতি ১৫ সেকেন্ডে একটি করে ভোট প্রদানের হিসাব করা হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী। অন্যদিকে ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৯৩ জন। তাদের মধ্যে নারী মাত্র ৪৭ জন। প্রতিটি হলে রয়েছে ১৪টি করে পদ। নির্বাচনে মোট ভোটার ২৭ হাজার ৫১৮ জন। এদিন বিকেল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষে ওএমআর পদ্ধতিতে গণনা শুরু হবে। হল সংসদের ফল ভোটকেন্দ্রেই ঘোষণা করা হবে। আর কেন্দ্রীয় সংসদের ফল ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে ঘোষণা করা হবে।
মন্তব্য করুন