বাকৃবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৪৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মেয়েদের ব্যক্তিগত ছবি সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ছবি : সংগৃহীত

গোপনে হলের সিনিয়র-জুনিয়র ছাত্রীদের অপ্রস্তুত অবস্থার ছবি তুলে এক সিনিয়র ভাইয়ের কাছে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে। হোয়াটসঅ্যাপে আদান-প্রদান হওয়া সেসব মেসেজ ও ছবির তথ্য প্রমাণ রয়েছে ভুক্তভোগী অভিযোগকারী ছাত্রীদের কাছে।

অভিযোগ অনুযায়ী, অভিযুক্ত ছাত্রী অন্য ছাত্রীদের ঘুমন্ত বা ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি তুলে নিয়মিতভাবে তার কাছের সিনিয়র ভাইকে পাঠাতেন। সোমবার (২৭ অক্টোবর) ভুক্তভোগী অভিযোগকারীরা (যাদের না জানিয়ে তাদের ছবি সিনিয়র ভাইকে পাঠানো হয়েছে) বিষয়টি মৌখিকভাবে অনুষদের ডিনের কাছে জানান। পরে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) তারা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ডিনের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত নারী শিক্ষার্থী সদ্য কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। যিনি ছবিগুলো গ্রহণ করতেন, তিনিও একই বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী।

অভিযুক্ত নারী শিক্ষার্থী অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মজিদ। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা অভিযোগ নিয়ে আমার কাছে আসে। আমরা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন পরীক্ষা করে ছবির আদান-প্রদানের প্রমাণ পাই। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি স্বীকার করেন, তিনি মেয়েদের বিভিন্ন ছবি তুলতেন এবং তা এক সিনিয়র ভাইয়ের কাছে পাঠাতেন।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ওই মোবাইলটি সিলগালা অবস্থায় ডিন অফিসে সংরক্ষিত রয়েছে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ ও নিরোধ কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হবে।

অভিযুক্ত সিনিয়র শিক্ষার্থী বলেন, আমি মেয়েটির সঙ্গে দীর্ঘদিন কথা বলেছি। সে যেসব ছবি পাঠিয়েছে, আমি তা সংরক্ষণ করিনি। আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না, তবে আমি আমার কাজের জন্য অনুতপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যা সিদ্ধান্ত নেবে, আমি তা মেনে নেব।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সহপাঠীদের ভাষ্য, ইন্টার্নশিপ চলাকালে ওই শিক্ষার্থীর সন্দেহজনক আচরণ লক্ষ্য করে তারা নজরদারিতে রাখেন। পরে নিশ্চিত হন যে, তিনি মেয়েদের ঘুমন্ত বা অপ্রস্তুত অবস্থার ছবি তুলতেন। বিষয়টি প্রমাণ হওয়ার পর তারা বিভাগীয় শিক্ষকদের অবহিত করেন এবং কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। বিষয়টি প্রথমে ভেতরে ভিতরে মীমাংসা করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা মীমাংসা না করে বিচার দাবি করে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সন্তানের মৃত্যুশোকে রেললাইনে শুয়ে পড়লেন মা, চালক থামালেন ট্রেন 

সালমান শাহকে নিয়ে যে দাবি করেন সামিরা

আকিকা দেওয়ার দায়িত্ব কার, নিজের আকিকা নিজে দেওয়া যাবে কি?

সরানো হলো যশোরের ঐতিহ্যবাহী গদখালী ফুলের বাজার

জকসু নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজগুলো চ্যালেঞ্জিং : প্রধান নির্বাচন কমিশনার

রাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যু, বিচারসহ চার দাবিতে বিক্ষোভ

‘ওরা আমার স্বামীকে গুলি করে মারল, আমি এখন কী করব?’

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গোপন নথি ফেসবুকে, সমালোচনার ঝড়

সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে বোলিংয়ে বাংলাদেশ, দেখে নিন একাদশ

‎জবি ছাত্রদল নেতার উদ্যোগে ফুচকা ফেস্ট

১০

জামায়াত নেতাদের সঙ্গে কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের বৈঠক 

১১

জুলাই অভ্যুত্থানের মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার

১২

এত চেষ্টা করেও দিল্লির আকাশে মিলল না এক ফোঁটা পানি

১৩

মালয়েশিয়ায় পাচারকালে নারী-শিশুসহ ২৬ রোহিঙ্গা উদ্ধার

১৪

শিক্ষকদের আপত্তি টিকল না, লটারিতেই স্কুলে ভর্তি

১৫

প্লট দুর্নীতি  / আত্মসমর্পণ করে কারাগারে রাজউকের খুরশিদ

১৬

ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৬৪

১৭

টেকসই গণতন্ত্র, সুশাসন ও জবাবদিহিতা ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় : মাসুদ সাঈদী

১৮

মুখ ধোয়ার জন্য বার সাবান ভালো না কি খারাপ? যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা

১৯

পুলিশি তৎপরতায় ধানুশ-রজনীকান্ত

২০
X