

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেছেন, সমাজের যে কোনো অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্যই জুলাই বিপ্লব হয়েছিল। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার্থীরাই হবে আগামীর পাথেয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) কোম্পানীগঞ্জ বামনী ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, সমাজের অসঙ্গতি ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্যই জুলাই বিপ্লব সংঘটিত হয়। আগামী দিনে একটি ন্যায়ভিত্তিক ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা আজকের শিক্ষার্থীদের অভিপ্রায়। বর্তমান যুগে শুধুমাত্র অ্যাকাডেমিক পড়াশোনায় সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলধুলা ও অন্যান্য সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে পারদর্শী হতে হবে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, মেশিন লার্নিং ও ইন্টারনেট অব থিংসসহ কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রায়োগিক বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করলে ছাত্র-ছাত্রীরা সামনে এগিয়ে যেতে পারবে।
নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, কেউ যদি পরিশ্রম করে জ্ঞান অন্বেষণ করে তাহলে সে কখনও বিমুখ হবে না। সৃষ্টিকর্তা যে মেধা তোমাকে দিয়েছেন সেটাকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। তোমাদের মেধাকে সমাজের কল্যাণের জন্য কাজে লাগাবে। তোমাদের পরিকল্পনা এবং প্রচেষ্টা দুটোই থাকতে হবে। তুমি তোমার জীবনকে কীভাবে সাজাতে চাও সে পরিকল্পনা এখনই করতে হবে। সামনে তোমাদের আরও অনেক প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হবে। সেই পথে সাফল্য পেতে হলে, শিক্ষার্থীদের একটাই অস্ত্র রয়েছে সেটা হলো মেধা এবং পরিশ্রম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আজগর আলী বলেন, জীবনে সফলকাম হতে হলে এখন থেকেই নিজের ক্যারিয়ারের লক্ষ্য নিজেকেই ঠিক করতে হবে। নিজের সাফল্যের পথ নিজেকেই সৃজন করতে হবে, তবেই জীবনে সোনার হরিণের দেখা পাওয়া যাবে। ছাত্রজীবনে কঠোর পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে যারাই বিখ্যাত হয়েছেন, তাদের জীবনী দেখলে অক্লান্ত শ্রম ও মেধার সমন্বয় পাওয়া যায়। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীরা তাদের মূল্যবান সময় মোবাইল ও মাদকাসক্তিতে যেনো ব্যয় না করে, সেদিকে অভিভাবকদের প্রতি সুদৃষ্টি রাখার অনুরোধ জানান। আজগর আলী বলেন, মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। কিন্তু সে বড় জায়গায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে শিক্ষার্থীদের অধ্যাবসায়ের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ টি এম ফিরোজ আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া বিনতে কাশেম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) এ এস এম কামাল উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অবিভাভকবৃন্দ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে কলেজের পক্ষ থেকে আমন্ত্রিত অতিথিদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
মন্তব্য করুন