রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

শিক্ষকতার ওপরে কোনো পেশা নেই : রাবি উপাচার্য

বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি : কালবেলা
বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি : কালবেলা

যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে শিক্ষকতা করলে সেটাই সর্বশ্রেষ্ঠ পেশা বলে মনে করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব।

তিনি বলেন, ‘আমার মতে, শিক্ষকতার ওপরে কোনো পেশা নেই। সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করে শিক্ষকতা করলে এর চেয়ে মহান পেশা আর হতে পারে না। এ পেশার মাধ্যমে আমরা মানুষের জ্ঞানভান্ডার সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাই। একজন শিক্ষক হওয়া নিঃসন্দেহে ভাগ্যের, একটি ভাগ্যের ব্যাপার।’

রোববার (০২ নভেম্বর) রাবি ক্যাম্পাসে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শিক্ষক সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রাবি উপাচার্য।

সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘গত বছরও আমরা তিনজন শিক্ষককে গুণী শিক্ষকের সম্মাননা দিয়েছিলাম। এ বছরেও আমরা তিনজন গুণী এবং শিক্ষককে মনোনীত করেছি। এ আয়োজন করতে পেরে আমরা আনন্দিত এবং যাদের আমরা এ সম্মাননা দিয়েছি, তারাও অত্যন্ত যোগ্য। আমরা আমাদের প্রত্যেক গুণী শিক্ষককে সম্মানিত করার এ ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘আজ এখানে যে তিনজন সম্মানিত শিক্ষক (গুণী শিক্ষকের সম্মাননা পাওয়া) আছেন, এর মধ্যে অধ্যাপক নজরুল ইসলাম আমার ক্লাসরুম শিক্ষক। তিনি আমাকে অনেক কিছুর শিক্ষা দিয়েছেন এবং তার থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছিলাম আমি।’

নিজের শিক্ষাজীবনের কিছু অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘আমি সারাজীবনে কখনো এইম ইন লাইফ রচনা লিখি নাই। কেন লিখি নাই, এটি মনে হলে এখন হাসির সঙ্গে ভালো অনুভূতিও আসে। এটি লিখি নাই মানে যে আমার লাইফে এইম নেই, এমনটা না। আমি এইম ইন লাইফ লিখতাম না কারণ, আমি যদি লিখি, তাহলে সেখানে আমার এমন কিছু লিখতে হতো যেইটা হয়তো মিথ্যা। আমি কখনো বিতর্কেও অংশগ্রহণ করতাম না, কারণ বিতর্কে মাঝে মাঝে এমন কিছু বলতে হয়, যেটার কোনো মানে নাই। কখনো কখনো ভালো কিছুর বিপক্ষেও বলতে হয়, যার কোনো মানে নেই।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান। তিনি বলেন, ‘শিক্ষক শব্দটি এমনই এক শব্দ, যা শুনলে আমাদের ভেতরটা কেঁপে ওঠে, সম্মান নিজে থেকেই অনুভূত হয়। শিক্ষকতা একটি সম্মানজনক পেশা, আর ছোটবেলা থেকেই শিক্ষকদের দেখলে আমরা এক ধরনের শ্রদ্ধামিশ্রিত ভীতি অনুভব করতাম; দূর থেকে কোনো শিক্ষককে দেখলে অনেক সময়ই অন্যদিকে সরে যেতাম। একজন শিক্ষক একজন মানুষকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে পারেন, শিক্ষার্থীর ভেতরে লুকিয়ে থাকা প্রতিভাকে জাগিয়ে তুলতে পারেন।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন।

প্রতি বছর বিশ্ব শিক্ষক দিবস সাধারণত ৫ অক্টোবর পালিত হয়, তবে প্রশাসনিক ব্যস্ততার কারণে এ বছর অনুষ্ঠানটি ২ নভেম্বর আয়োজন করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

খুলনায় বিএনপি অফিসে গুলি-বোমা হামলা, নিহত ১

ভিউ বাড়াতে রাম দা হাতে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট শিক্ষকের

বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল ছিল : আমির খসরু

নিকোটিন পাউচ উৎপাদনের অনুমোদনে বিটিসিএ’র উদ্বেগ

ক্লাসিকোর দুঃস্বপ্ন পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়াল বার্সা

সন্দ্বীপে ধানের শীষের প্রচারণায় উপচেপড়া লোকসমাগম

হলান্ডের জোড়া গোলে জয়ে ফিরল ম্যানসিটি

জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে বিএনপি

আলী রীয়াজের পদত্যাগ দাবি নিউইয়র্ক বিএনপির

‘অর্থ নয়, আত্মতৃপ্তিই চিকিৎসার আসল প্রাপ্তি’

১০

প্রোটিয়াদের হারিয়ে বিশ্বকাপের শিরোপা ঘরে তুলল ভারত

১১

নেত্রকোনা স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

১২

দুটি দল বাংলাদেশের রাজনীতিতে ষড়যন্ত্র করছে : জুয়েল

১৩

দাঙ্গা-ফ্যাসাদে না জড়াতে কর্মীদের কঠোর নির্দেশনা সেলিমুজ্জামানের 

১৪

ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো অক্ষুণ্ণ রাখার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ডাকসুর প্রতিবাদ

১৫

সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 

১৬

রাজধানীতে বিশেষ অভিযান, গ্রেপ্তার ১৪

১৭

সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম সংবাদ সম্মেলন

১৮

‘৯০ শতাংশ স্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব’

১৯

নাগরিকদের সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়ে যে বার্তা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ

২০
X