

যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে শিক্ষকতা করলে সেটাই সর্বশ্রেষ্ঠ পেশা বলে মনে করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ হাসান নকীব।
তিনি বলেন, ‘আমার মতে, শিক্ষকতার ওপরে কোনো পেশা নেই। সুন্দরভাবে দায়িত্ব পালন করে শিক্ষকতা করলে এর চেয়ে মহান পেশা আর হতে পারে না। এ পেশার মাধ্যমে আমরা মানুষের জ্ঞানভান্ডার সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাই। একজন শিক্ষক হওয়া নিঃসন্দেহে ভাগ্যের, একটি ভাগ্যের ব্যাপার।’
রোববার (০২ নভেম্বর) রাবি ক্যাম্পাসে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শিক্ষক সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রাবি উপাচার্য।
সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘গত বছরও আমরা তিনজন শিক্ষককে গুণী শিক্ষকের সম্মাননা দিয়েছিলাম। এ বছরেও আমরা তিনজন গুণী এবং শিক্ষককে মনোনীত করেছি। এ আয়োজন করতে পেরে আমরা আনন্দিত এবং যাদের আমরা এ সম্মাননা দিয়েছি, তারাও অত্যন্ত যোগ্য। আমরা আমাদের প্রত্যেক গুণী শিক্ষককে সম্মানিত করার এ ধারা অব্যাহত রাখতে চাই।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘আজ এখানে যে তিনজন সম্মানিত শিক্ষক (গুণী শিক্ষকের সম্মাননা পাওয়া) আছেন, এর মধ্যে অধ্যাপক নজরুল ইসলাম আমার ক্লাসরুম শিক্ষক। তিনি আমাকে অনেক কিছুর শিক্ষা দিয়েছেন এবং তার থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছিলাম আমি।’
নিজের শিক্ষাজীবনের কিছু অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে সালেহ হাসান নকীব বলেন, ‘আমি সারাজীবনে কখনো এইম ইন লাইফ রচনা লিখি নাই। কেন লিখি নাই, এটি মনে হলে এখন হাসির সঙ্গে ভালো অনুভূতিও আসে। এটি লিখি নাই মানে যে আমার লাইফে এইম নেই, এমনটা না। আমি এইম ইন লাইফ লিখতাম না কারণ, আমি যদি লিখি, তাহলে সেখানে আমার এমন কিছু লিখতে হতো যেইটা হয়তো মিথ্যা। আমি কখনো বিতর্কেও অংশগ্রহণ করতাম না, কারণ বিতর্কে মাঝে মাঝে এমন কিছু বলতে হয়, যেটার কোনো মানে নাই। কখনো কখনো ভালো কিছুর বিপক্ষেও বলতে হয়, যার কোনো মানে নেই।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান। তিনি বলেন, ‘শিক্ষক শব্দটি এমনই এক শব্দ, যা শুনলে আমাদের ভেতরটা কেঁপে ওঠে, সম্মান নিজে থেকেই অনুভূত হয়। শিক্ষকতা একটি সম্মানজনক পেশা, আর ছোটবেলা থেকেই শিক্ষকদের দেখলে আমরা এক ধরনের শ্রদ্ধামিশ্রিত ভীতি অনুভব করতাম; দূর থেকে কোনো শিক্ষককে দেখলে অনেক সময়ই অন্যদিকে সরে যেতাম। একজন শিক্ষক একজন মানুষকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে পারেন, শিক্ষার্থীর ভেতরে লুকিয়ে থাকা প্রতিভাকে জাগিয়ে তুলতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মাঈন উদ্দীন।
প্রতি বছর বিশ্ব শিক্ষক দিবস সাধারণত ৫ অক্টোবর পালিত হয়, তবে প্রশাসনিক ব্যস্ততার কারণে এ বছর অনুষ্ঠানটি ২ নভেম্বর আয়োজন করা হয়।
মন্তব্য করুন