জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) মো. মশিউজ্জামান খানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন মশিউজ্জামান খানের আপন চাচি কামরুন্নাহার রুপা।
রোববার (২৫ জুন) ময়মনসিংহ জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট হাবিবুল্লাহ বেলালী মারুফের সই করা লিগ্যাল নোটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর বরাবর পাঠানো হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ না নিলে আদালতের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও নোটিশে জানানো হয়।
কী বলা হয়েছে নোটিশে
নোটিশে বলা হয়, অভিযুক্ত কর্মকর্তা মশিউজ্জামান খান এবং তার আপন চাচার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। বিরোধের জেরে অভিযুক্ত কর্মকর্তা চাকরির প্রভাব খাটিয়ে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে নোটিশদাতা এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।
গত ১৬ জুন বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে অভিযুক্ত কর্মকর্তা ও তার ভাড়াটে সন্ত্রাসী নোটিশদাতার স্বামীকে খুন করার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপ ও এলোপাতাড়িভাবে মারধরের করার কারণে নোটিশদাতা এবং তার স্বামী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ ঘটনায় ত্রিশাল থানায় মামলা হয়েছে।
অভিযুক্ত কর্মকর্তা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নোটিশদাতা ও তার (সেনা অব.) অসুস্থ স্বামী এবং চার কন্যাকে হত্যার হুমকি ও মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
অভিযোগ অস্বীকার
অভিযোগের বিষয়ে মশিউজ্জামান খান জানান, তিনি এ বিষয়ে অবগত নন। তিনি বলেন, ‘আমি বাড়িতে থাকি না এবং এসব ব্যাপারে একেবারেই অবগত নই। ১৬ জুন ঘটনাস্থলেও আমি ছিলাম না এবং জানতামও না। মূলত হিংসা-প্রতিহিংসা থেকে হয়রানি এবং আত্মসম্মানবোধ নষ্ট করতেই হয়তো তারা আমার নাম জড়িয়েছে।’
মামলার পর চাকরির ক্ষমতা দেখিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তা অস্বীকার করেন মশিউজ্জামান খান। বলেন, ‘তাদের সাথে আমার কথাই হয়নি। আমি এসব শুনে তাজ্জব হয়ে গেছি।’
কী বলছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় এখন বন্ধ রয়েছে। আমাদের কাছে এখনো নোটিশ পৌঁছায়নি। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
অভিযুক্ত মশিউজ্জামান খান
মন্তব্য করুন