বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশের বাইরে বা দেশের অভ্যন্তরে উচ্চশিক্ষায় যে বড় সমস্যাটির শিকার হয় তা হলো ইংরেজি ভাষার দক্ষতা। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণাতেও ইংরেজিতে ভালো দক্ষতার প্রয়োজন হয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় উপাদান, পরিবেশ ও স্পৃহার অভাবে শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে পারছে না। ফলে দেশের বাইরে যেয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা মানসিক অবসাদে পড়েন। এ সময়টা তারা নতুন পরিবেশে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে কারও সঙ্গে মন খুলে কথা বলতেও পারে না। এ জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিলকে অনুরোধ করেছি, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কেন্দ্র স্থাপন করার জন্য। এটা হলে শিক্ষার্থীদের ঢাকা গিয়ে কষ্ট করে আইইএলটিএস দিতে হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই আমাদের শিক্ষার্থীরা ইংরেজির প্রস্তুতি এবং সেটার পরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারবে। এতে বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের হার অনেক বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করি।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নের ওপর একটি বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাকৃবি উপাচার্য। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকেল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সভাকক্ষে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারটি ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ স্কলার অ্যান্ড ফেলো সম্মিলিতভাবে সেমিনারটির আয়োজন করে।
সেমিনারে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব ও উৎকর্ষতা নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়। এ সময় সুস্থ সাবলীল মানসিক স্বাস্থ্য গঠন এবং অবসাদমুক্ত জীবনযাপন করতে করণীয় ও দৈনন্দিন জীবনের রুটিন নিয়ে পরামর্শ প্রদান করা হয়। মানসিক অবসাদ দূর করাসহ মানসিক চাপ দূরীকরণে বেশ কিছু অনুশীলনও করা হয়। সেমিনার শেষে সবার জন্য উম্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব রাখা হয়।
সেমিনারে প্রধান বক্তা ছিলেন মেন্টাল হেলথ ফার্স্ট এইড প্রোগ্রাম বাংলাদেশ ও ইনোভেশন ফর ওয়েলবিং ফাউন্ডেশনের (আইডব্লিউএফ) নির্বাহী পরিচালক মনিরা রহমান। এ ছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের প্রোগ্রামস ডিরেক্টর ডেভিড নক্স, বিএসিএসএএফের পরিচালক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী।
মন্তব্য করুন