সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপলোড করা ছবিতে ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট দেওয়ায় সহপাঠীকে মারধর করে নাক ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ছাত্রদল নেতা আরিফ হোসেন শান্তর বিরুদ্ধে। ববি ক্যাম্পাস সংলগ্ন ভোলা রোডের ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থীর নাম জাকির হোসেন (২৩)। তিনি ববির বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। অভিযুক্ত শান্ত একই বিভাগের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল শাখা কমিটির সদস্য।
আহতের সহপাঠী গোলাম রব্বানী জানান, আমি ও জাকির রাত ১০টার দিকে ভোলার রোডে বাজার করতে যাই। ঘটনার সময় জাকির আমার কাছ থেকে একটু দূরে দাঁড়ানো ছিল। এ সময় হঠাৎ দেখি শান্ত এসে জাকিরের বাম চোখে আঘাত করছে। এরপর জাকিরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল ঘুষি মারে শান্ত। স্থানীয়রা আহত জাকিরকে উদ্ধার করে শেবাচিমের চক্ষু বিভাগে ভর্তি করে।
আহত শিক্ষার্থী জাকির বলেন, শান্তর একটা ছবিতে আমি ‘হা হা’ রিঅ্যাক্ট দিয়েছিলাম। এরপরই শান্ত আমার মেসেঞ্জারে অশ্রাব্য ভাষা প্রয়োগ করেছে। পরে আমি কোথায় আছি তা জানতে চায় শান্ত। তখন শান্তকে বলি, ‘আমি ভোলার রোডে আছি।’ তারপর অল্প সময়ের মধ্যে সে ঘটনাস্থলে এসে আমার চোখে ঘুষি মারে। ঘুষিতে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও শান্ত আমাকে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকে। এরপর নাক থেকে অনবরত রক্ত ঝরেছে।
অভিযুক্ত শান্ত বলেন, ‘জাকির আমাকে বিভিন্নভাবে উসকানি দিয়ে ভোলা মোড়ে ডেকে নিয়ে হিট করেছে। আমার হাতে কামড় দিয়েছে। আত্মরক্ষার্থে আমি তাকে মারধর করেছি।’
ববির বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা পম্পা রানী মজুমদার বিষয়টি শুনেছেন জানিয়ে বলেন, এ ধরনের ঘটনা কাম্য নয়। আমি ওই দুজনের সঙ্গে কথা বলব।
ববি প্রক্টর ড. আব্দুল কাইউম বলেন, ফেসবুকে দেওয়ার রিঅ্যাক্টকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে কিনা, জানি না। অভিযোগ পেলে তদন্ত শেষে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মন্তব্য করুন