শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসটির সূচনা করা হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় শেকৃবির প্রশাসনিক ভবনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এরপর শেকৃবির উপউপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য) অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পালের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর প্রদক্ষিণ করে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রশাসনিক ভবনে এসে শেষ হয়।
র্যালি শেষে শেকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদের সঞ্চালনায় এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন শেকৃবির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. অলোক কুমার পাল, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী, গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান খাঁন, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মিজানুল হক কাজল, সিড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন, ফিশারিজ, একোয়াকালচার অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ এম সাহাবুদ্দিন, এনিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কে বি এম সাইফুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরোত্তর সফলতা ও মঙ্গল কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয় এবং কেক কেটে আনন্দ উদযাপন করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০১ সালের ১৫ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০১ সালে শেকৃবি একটি অনুষদ দিয়ে এর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে।
বর্তমানে চারটি অনুষদ ও একটি ইনস্টিটিউরের মাধ্যমে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি চলমান। বিশ্ববিদ্যলয়ের ২৫টি বিভাগে স্নাতকোত্তর ও ১০টি বিভাগে এখন পিএইচডি কোর্স চলমান।
মন্তব্য করুন