লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

লালমনিরহাটে পরীক্ষায় বসতে পারেননি ১৬ শিক্ষার্থী

লালমনিরহাট জেলা ম্যাপ। গ্রাফিক্স : কালবেলা
লালমনিরহাট জেলা ম্যাপ। গ্রাফিক্স : কালবেলা

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার চরবলা ইউনিয়নের শিয়ালখোওয়া সূর্যমুখী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ কর্তৃপক্ষের ভুলে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি ১৬ শিক্ষার্থী।

সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও রোববার (৩০ জুন) শুরু হওয়া এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ওই তারা। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অভিভাবকরাও।

জানা গেছে, উপজেলার চলবলা ইউনিয়নে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে ২০০৯ সালে শিয়ালখোওয়া সূর্যমুখী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন চলবলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু। প্রতি বছর ওই বিএম কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতকার্য হয়ে আসছে। তাই এবারেও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশে যথাসময়ে প্রতিষ্ঠানটির এইচএসসি প্রথম বর্ষের ১৬ জন পরীক্ষার্থী তাদের ফরম পূরণ করেন। পরে পরীক্ষার্থীরা যথাসময়ে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রবেশপত্র সংগ্রহের জন্য যান। তখন কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র পৌঁছে দেওয়া হবে। এমন আশ্বাসে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়েও প্রবেশপত্র পানননি। ফলে ফরম পূরণ এবং প্রস্তুতি নিয়েও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি তারা। কেন্দ্রে পৌঁছেও পরীক্ষা দিতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন ওই শিক্ষার্থীরা।

প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী বিপুল চন্দ্র ও আবু হাসান লিমন জানায়, পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কলেজে দিয়ে যথাসময়ে ও যথানিয়মে ফরম পূরণ করে প্রথম বর্ষের ১৬ জন শিক্ষার্থী। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, কেন্দ্রেই প্রবেশপত্র পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই আশায় কেন্দ্রে গিয়েও পরীক্ষা দিতে পারেনি তারা। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় তাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেল শিক্ষাজীবনের একটি বছর। তারা এমন ঘটনায় ন্যায়বিচার দাবি করে।

এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বাবুল হোসেন জানান, সন্তানদের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলে এমন শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তাদের অবহেলায় ১৬ জন পরীক্ষার্থীর জীবন থেকে হারিয়ে গেল একটি বছর। তিনিও ন্যায়বিচার দাবি করেন।

শিয়ালখোওয়া সূর্যমুখী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের শিক্ষক সুকুমার বলেন, ১৬ জন পরীক্ষার্থীর সকলের ফরম পূরণ করা হয়েছিল। অনলাইন জটিলতায় তাদের প্রবেশপত্র পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে ঢাকায় কয়েক দফায় গিয়েও কোনো কাজ হয়নি।

তবে ওই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু জানান, যে ১৬ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি তারা সকলে অন্য প্রতিষ্ঠানেও (জেনারেল) ভর্তি আছে। এ জন্য তাদের এমন সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহির ইমাম জানান, বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গরুর মাংসে হাড়-চর্বি বেশি দেওয়ায় সংঘর্ষ

‘বিএনপি ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না’

এক ইলিশ ১০ হাজার টাকা

ভাতের হোটেলের পাওনা চাওয়ায় গুলি

ব্যক্তি স্বার্থে দলকে ব্যবহার করা যাবে না : সেলিমুজ্জামান

‘জনগণের অধিকার ও মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে কাজ করছে বিএনপি’

নিউইয়র্কের প্রবাসীদের এনআইডি কার্যক্রমের উদ্বোধন

কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর

ফের জামায়াতের সমালোচনা করলেন হেফাজত আমির

জবি ক্যাম্পাসে ছাত্রদল নেতা হাসিবুলের প্রথম জানাজা সম্পন্ন

১০

গণতন্ত্রে উত্তরণে বিশ্বের সমর্থন পাওয়া গেছে : মির্জা ফখরুল

১১

আমরা পা ছেড়ে মাথার রগে ফোকাস করছি, মজার ছলে সর্ব মিত্র

১২

নাটকীয় ম্যাচ জিতে টাইগারদের সিরিজ জয়

১৩

জবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যুতে হাসপাতালে ভিপি সাদিক কায়েম

১৪

হঠাৎ খিঁচুনিতে জবি ছাত্রদল নেতার মৃত্যু

১৫

আবারও ইনজুরিতে ইয়ামাল

১৬

ঈদগাহের নামকরণ নিয়ে দ্বন্দ্ব, দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

১৭

খুলনায় ছেলের হাতে বাবা খুন

১৮

চাকসু নির্বাচন / ১৫ সেকেন্ডে দিতে হবে ১ ভোট

১৯

‘ভোটের অধিকার না থাকায় শ্রমজীবীরা বেশি অমর্যাদার শিকার’

২০
X