কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৫, ০৭:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যেসব কলেজে মাস্টার্স নেই আবেদন করলে বিবেচনা করা হবে : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য 

মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. এএসএম আমানুল্লাহ। ছবি : কালবেলা
মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. এএসএম আমানুল্লাহ। ছবি : কালবেলা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম আমানুল্লাহ বলেছেন, যে সকল বিষয়ে স্নাতকোত্তর নেই, সে বিষয়ে কলেজগুলোর কর্তৃপক্ষ আবেদন করলে অনুমোদন দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজে নবীন বরণ, বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব আশ্বাস দেন।

অধ্যাপক ড. এএসএম আমানুল্লাহ বলেন, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজকে একটি মডেল কলেজে রূপান্তরিত করার জন্য সব প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন। কলেজের ১৯৬৯ সালে স্বাধীনতার পূর্বে প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, পুরানো কলেজটিতে এসে আমি গর্বিত বোধ করছি।

তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মান উন্নয়নে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ, যেমন- নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন, ইনকোর্স পরীক্ষার উত্তরপত্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো, উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়ন এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণসহ গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।

আমানুল্লাহ আশ্বাস দেন, কলেজটিতে যে সব বিষয়ে স্নাতকোত্তর নেই, সে বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ আবেদন করলে তিনি সেগুলো অনুমোদন দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য তাদের মধ্যে কোনো ধরনের দলীয় বিভাজন না রাখার ওপর জোর দেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

নবীন বরণ, বার্ষিক পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এইচ. এম. অলিউল্লাহ এবং উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ লিয়াকত আলী। মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুর রাজ্জাক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও শিক্ষার মানোন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এখনো অনেক কাজ করার আছে এবং শিক্ষার্থীদের গুণগত মানোন্নয়নে ও কলেজগুলোর সার্বিক গুণগত পরিবর্তনে ব্যাপক নীতিগত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম বলেন, সব সমস্যার সমাধান করে মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজকে দেশের মধ্যে একটি আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে এই বিশ্ববিদ্যালয় উত্তরোত্তর সাফল্য লাভ করবে।

অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়, বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পুনরায় বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হলেন মনজুর আলম

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আ.লীগ নেতা ও তার ছেলের ইলিশ শিকার

কবরস্থান-মসজিদ রক্ষায় রেলকর্মীদের আলটিমেটাম

এককভাবে সরকার গঠনে আত্মবিশ্বাসী তারেক রহমান

চাকরিচ্যুত সেনা সদস্যের প্রতারণা, সেনা অভিযানে গ্রেপ্তার

কোরআনে হাফেজের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

বাংলাদেশে নির্বাচনের অপেক্ষায় আছে তুরস্ক

৫ দিনের মাথায় আবারও গুলি করে যুবককে হত্যা

আ.লীগ নেত্রী আকলিমা তুলি গ্রেপ্তার

এক ভিসায় যাওয়া যাবে আরবের ৬ দেশে, কীভাবে?

১০

ভৈবর নদে তলিয়ে গেল সুন্দরবনের ট্যুরিস্ট জাহাজ

১১

অপহরণ করে ১০ কোটি টাকা আদায়ের মামলায় লিপটন কারাগারে 

১২

আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় আ.লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ২১

১৩

তারেক রহমানের বক্তব্য বিকৃত করছে একটি গোষ্ঠী : আবিদ

১৪

জামায়াত কী হিন্দুদের স্বর্গের টিকিটও দেবে : সেলিম জাহাঙ্গীর

১৫

ঢাকা-১৮ আসনে কফিল উদ্দিনের উদ্যোগে উঠান বৈঠক

১৬

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ / রাজনৈতিক হয়রানির অভিযোগ তুলে হত্যা মামলা প্রত্যাহারের পাঁয়তারা 

১৭

নৌকা উল্টে  কর্ণফুলীতে ভেসে গেল সাড়ে ১২ টন মাছ

১৮

গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েল-হামাস পরোক্ষ আলোচনা শুরু

১৯

নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকারবিরোধী : নীরব

২০
X