দেশের ৮টি বিভাগের ৬২টি জেলার নির্বাচিত ১৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের জন্য শুরু হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ফিডিং কর্মসূচি’। এই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হালনাগাদ ও নির্ভুল তথ্য চেয়ে জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।
রোববার (২২ জুন) প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আদেশে বলা হয়েছে, ফিডিং কর্মসূচি বাস্তবায়নের আওতায় থাকা সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এবং সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তাদের নির্ধারিত ছকে তথ্য সংগ্রহ করে দ্রুত জমা দিতে হবে। তথ্য পাঠানোর সময়সীমা : ৩০ জুন
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের (কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা ব্যতীত) জরুরি ভিত্তিতে হালনাগাদ তথ্য প্রেরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের ও কর্মকর্তাদের তথ্যসংবলিত ছক পূরণ করে ইমেইলে ([email protected]) পিডিএফ কপি ও সফট কপি (এমএস এক্সেল ফরমেটে, নিকোশবেন ফন্টে) এবং এর হার্ড কপি পাঠাতে হবে।
১৫০টি উপজেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এই মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। দেশের ৮টি বিভাগের ৬২টি জেলার ১৫০টি উপজেলাকে এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত করা হয়েছে। তবে ভৌগোলিক ও অন্যান্য বিবেচনায় কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা এই প্রকল্পের আওতার বাইরে থাকছে।
এই কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সব কর্মকর্তাকে দায়িত্বশীলভাবে তথ্য প্রেরণের জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক, উপপ্রকল্প পরিচালক এবং সহকারী প্রকল্প পরিচালক নিয়মিতভাবে তথ্য প্রেরণের বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
উল্লেখ্য, স্কুল ফিডিং কর্মসূচি দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় একটি যুগান্তকারী সামাজিক উদ্যোগ। এর মূল লক্ষ্য হলো বিদ্যালয়ে শিশুদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা এবং তাদের শিক্ষায় মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করা। এই কর্মসূচির আওতায় নির্দিষ্ট স্কুলগুলোর শিক্ষার্থীদের পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হবে, যা বিশেষ করে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের শিশুদের অপুষ্টির ঝুঁকি কমাতে এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়তা করবে। পাশাপাশি, এটি অভিভাবকদের মধ্যে বিদ্যালয়ে সন্তান পাঠানোর আগ্রহকেও ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন