১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ প্রার্থীদের ফল পুনরায় যাচাই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে এক দিনের মৌখিক পরীক্ষায় (ভাইভা) কারিগরি ত্রুটির অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ত্রুটি সংশোধন করে ফলাফল আবারও প্রকাশ করা হতে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, ১৮তম নিবন্ধনের এক দিনের একটি বোর্ডের ভাইভায় কারিগরি ত্রুটি ছিল বলে প্রাথমিকভাবে সামনে এসেছে। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টি সমাধানের জন্য কাজ করছে এবং কারিগরি ত্রুটির বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাউশির এক কর্মকর্তা বলেছেন, ‘১৮তম নিবন্ধনে ফেল করা সব প্রার্থীর অভিযোগ সঠিক নয়। তবে এক দিনের ভাইভায় কিছুটা ত্রুটি হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আসলেই যদি ত্রুটি হয়ে থাকে, তাহলে বিষয়টি সমাধান করা হবে। কেউ বঞ্চিত হবেন না। ওই প্রার্থীদের ফল পুনর্মূল্যায়ন করা হবে।’
তবে সামগ্রিক ফলাফল পরিবর্তনের সুযোগ নেই বলে তিনি স্পষ্ট করেছেন। তার মতে, যারা ফেল করেছেন, তাদের সবাই যোগ্য নন এবং অনেকের ন্যূনতম মৌলিক জ্ঞান ছিল না। সবাইকে পাস করানো বা সনদ দেওয়ার সুযোগ নেই। ফলাফলে কোনো অসঙ্গতি হয়েছে কি না, কেবল সেটিই যাচাই করা হচ্ছে এবং অসঙ্গতি পেলে তা সমাধান করা হবে।
গত ৪ জুন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়, যেখানে ৬০ হাজার ৫২১ জন প্রার্থীকে উত্তীর্ণ ঘোষণা করা হয়। এই ফলাফলে ২০ হাজারেরও বেশি প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মো. মিলন নামে এক ১৮তম নিবন্ধনপ্রত্যাশী জানান, তাদের ফলাফলে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। যেমন কোনো বোর্ডে ৬০ জনের মধ্যে ৫১ জন ফেল, আবার কোনো বোর্ডে মাত্র তিনজন ফেল।
তিনি আরও বলেন, লিখিত পরীক্ষায় ৪০ পেয়েও কেউ উত্তীর্ণ হয়েছেন, আবার ৭০ নম্বর পাওয়ার কথা থাকলেও অনেকে ফেল করেছেন। এসব কারণে তারা ফলাফল মানেন না এবং ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন