বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজিতে (বিইউবিটি) সফলভাবে অনুষ্ঠিত হলো ‘রকেট অ্যাডভেঞ্চার ডে’। শনিবার (৫ জুলাই) বিইউবিটি এবং স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্প যৌথভাবে প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে।
৪ থেকে ১৬ বছর বয়সী স্কুলের শিক্ষার্থীরা দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এই আয়োজনে রকেট তৈরির কর্মশালা, রকেট সিমুলেশন, দলীয়ভাবে রকেট উৎক্ষেপণ কার্যক্রম এবং কম্পিউটার-ভিত্তিক রকেট ট্রাজেক্টরি নির্ধারণ ইত্যাদি বিষয়ে হাতে কলমে জ্ঞান অর্জন করে। এ আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল শিশু-কিশোরদের মধ্যে মহাকাশ বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা এবং তাদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে আগ্রহী করা।
অনুষ্ঠানের সমাপনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিইউবিটির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলী আহমেদ। তিনি শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি চর্চায় আগ্রহী করে তুলতে উৎসাহ প্রদান করে। বলেন, শিশু-কিশোরদের মধ্যে বৈজ্ঞানিক কৌতূহল সৃষ্টি করাতে এমন উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা জানায়, এই ধরনের ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা তাদের রকেট ও মহাকাশ বিজ্ঞানের প্রতি গভীর আগ্রহ তৈরি করেছে এবং ভবিষ্যতে তারা এ ধরনের কার্যক্রমে আরও অংশ নিতে চায়।
‘রকেট অ্যাডভেঞ্চার ডে’ বিইউবিটি এবং স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের একটি সফল আয়োজন যা এসটিইএমসি (বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল, গণিত এবং কম্পিউটিং) শিক্ষাকে সারা দেশে শিশুদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে। একইসঙ্গে, মহাকাশ বিজ্ঞান, অ্যাভিয়েশন এবং রোবটিক্সের মতো আধুনিক শিক্ষাক্ষেত্রে শিশুদের আগ্রহ তৈরিতে বিইউবিটির অংশীদারিত্ব প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখে।
আয়োজনে অতিথিদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিইউবিটির সম্মানিত রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন-অর-রশিদ। তিনি তার বক্তব্যে শিশু-কিশোরদের মাঝে বিজ্ঞানমনস্কতা ও সৃজনশীলতা বিকাশে এ ধরনের আয়োজনের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যতে বিইউবিটির এমন শিক্ষামূলক কার্যক্রম আরও বড় পরিসরে আয়োজনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিইউবিটির ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেসের ডিন অধ্যাপক ড. মুন্সী মাহবুবুর রহমান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুর রহমান ও স্পেস ইনোভেশন ক্যাম্পের সভাপতি আরিফুল হাসান অপু। তিনি এই আয়োজনের সফলতার জন্য অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী, অভিভাবক, স্বেচ্ছাসেবক এবং সব সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
মন্তব্য করুন