শুধু জোরে জোরে পড়ে মুখস্থ করলেই সব শেখা হয় না। আজকের পড়াশোনা আগের দিনের মতো নয়। এখন দরকার স্মার্ট শেখার কৌশল—যা সময়ও বাঁচাবে, শেখাটাও মজার করে তুলবে।
মনোবিদ ও শিক্ষাবিদদের মতে, কিছু সহজ কৌশল ব্যবহার করলে শেখা অনেক বেশি কার্যকর হয়। এখানে এমন ৫টি সহজ কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হলো, যেগুলো শিক্ষার্থী মাত্রই কাজে লাগাতে পারেন:
১. মুখস্থ না করে বোঝার চেষ্টা করুন
শুধু মুখস্থ করলে তা অল্প সময়েই ভুলে যাওয়া স্বাভাবিক। তার চেয়ে বরং যা পড়ছেন, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। পড়ার পর নিজের ভাষায় লিখে ফেলুন। সময় পেলে ছোট করে টেস্ট দিন বা প্রশ্নোত্তর লিখে অভ্যাস করুন।
এতে মস্তিষ্ক তথ্যকে মনে রাখার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করে, ফলে বিষয়টা মজবুতভাবে মনে থাকে।
২. পড়াটা সময়মতো রিভিশন করুন
একবার পড়ে রেখে দিলে তা অনেক সময় ভুলে যাওয়া স্বাভাবিক। তাই কিছুদিন পর পর রিভিশন করুন। পুরোনো বিষয়গুলো আবার ঝালিয়ে নিন।
আরও পড়ুন : বাসি রুটি-ঘি দিয়ে বানানো যায় স্বাস্থ্যকর সকালের নাস্তা
এতে মনে গেঁথে যাবে এবং পরীক্ষার আগে আলাদা করে নতুন করে পড়ার চাপও কমবে।
৩. বড় বিষয়ের ছোট ছোট ভাগ করুন
জটিল বা বড় চ্যাপ্টার একবারে না পড়ে, ছোট ছোট অংশে ভাগ করে পড়ুন। প্রতিটি অংশ ভালোভাবে বুঝে তারপর পরবর্তী অংশে যান।
এতে করে মস্তিষ্ক চাপ অনুভব করে না, শেখাও অনেক সহজ হয়।
৪. অন্যকে শেখানোর চেষ্টা করুন
কোনো কিছু যদি আপনি অন্য কাউকে বোঝাতে পারেন, তাহলে বুঝবেন আপনি নিজেই বিষয়টি ভালোভাবে বুঝেছেন। বন্ধু, ভাই-বোন বা এমনকি দেয়ালকেও বোঝানোর ভান করতে পারেন! এতে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে।
পদার্থবিদ রিচার্ড ফাইনম্যানের মতে, বিষয় যত সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করতে পারবেন, তত গভীরভাবে আপনি সেটা শিখেছেন।
৫. বাস্তব উদাহরণ বা মডেল ব্যবহার করুন
পাঠ্যবইয়ের বিষয়গুলোর সঙ্গে বাস্তব জীবনের উদাহরণ মিলিয়ে পড়লে অনেক ভালো বোঝা যায়। বিজ্ঞানের বিষয় হলে হাতে-কলমে করে দেখুন। প্রয়োজনে মডেল বানিয়ে, চার্ট এঁকে বা ভিডিও দেখে শেখার চেষ্টা করুন।
চোখের সামনে কিছু দেখলে মস্তিষ্কে তা অনেক বেশি সময় থাকে।
আরও পড়ুন : জ্বর হলে জিভের স্বাদ চলে যাওয়া হতে পারে বড় রোগের লক্ষণ
শেখা শুধু পরীক্ষার জন্য নয়, জীবনের জন্য। তাই মুখস্থ নয়, বোঝার ওপর জোর দিন। রুটিন মেনে চলুন, আর শেখার কৌশলগুলো কাজে লাগান। দেখবেন—মনোযোগও থাকবে, পড়াও সহজ হবে, আর মনে থাকবে অনেকদিন।
সূত্র: আনন্দবাজার
মন্তব্য করুন