কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:৫৮ এএম
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৪০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

৩৩.৭৯ মিলিয়ন নিরক্ষরকে সাক্ষরতা প্রদানের লক্ষ্য সরকারের : প্রতিমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের সভাকক্ষে বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। ছবি : কালবেলা
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের সভাকক্ষে বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। ছবি : কালবেলা

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-৪) অর্জনের জন্য সরকার অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা খাতের জন্য কিছু লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩৩.৭৯ মিলিয়ন কিশোর-কিশোরী ও বয়স্ক নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে মৌলিক সাক্ষরতা প্রদান করা; মৌলিক সাক্ষরতা অর্জনকারী ৫ মিলিয়ন নব্যসাক্ষরকে কার্যকর দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদান করা এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ডকে কার্যকর করা।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের ৬৪ জেলায় নির্বাচিত ২৪৮টি উপজেলার ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৪৪ লাখ ৬০ হাজার নিরক্ষরকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাধ্যমে 'মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪ জেলা)' বাস্তবায়ন কার্যক্রম গত বছরের ৩০ জুন সম্পন্ন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর “রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্টাটিসটিকস ২০২২” সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশের বর্তমান সাক্ষরতার হার ৭৬.৮ শতাংশ (সাত বছর ও তদূর্ধ্ব) । বর্তমান সরকারের নানামুখী কর্মসূচির কারণে পূর্বের তুলনায় সাক্ষরতার হার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এখনও প্রায় ২৩.২০ শতাংশ জনগোষ্ঠি নিরক্ষর। এসকল নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষর করতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়।

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গতিশীল নেতৃত্বে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মাধ্যমে দেশের সুবিধাবঞ্চিত নিরক্ষর জনগোষ্ঠিকে মৌলিক শিক্ষাসহ দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদান করে দক্ষ মানবসম্পদে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে ব্যুরোর ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে ব্যুরোর জনবল কাঠামো শক্তিশালীকরণ, ব্যুরোর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সক্ষমতার আলোকে নিয়মিত কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন ইত্যাদি বিষয় কর্মপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার লক্ষ্যদলের জন্য উপানুষ্ঠানিক প্রাথমিক শিক্ষা, সাক্ষরতা দক্ষতা ও বাজার চাহিদা অনুযায়ী জীবিকায়নের দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে, যার মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা সম্ভব হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আরও ১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি

কপ৩০ সম্মেলনে আলোচনায় কী থাকছে

এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১৬ অক্টোবর

চমেক হাসপাতালে এসি বিস্ফোরণ

সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার সমীকরণ মেলাতে বাংলাদেশের সামনে যত সিরিজ

এ ঘৃণ্য কাজটি যারা করেছেন, নিজেদের বিবেককে প্রশ্ন করুন : রিপন মিয়া

তারেক রহমানের সাক্ষাৎকার বড় পর্দায় দেখালেন ছাত্রদল নেতা তারিক

নিয়মিত ব্লাড প্রেশার মাপা শুরু করবেন কখন থেকে

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শ্রমিকদের অবরোধ

নাশকতার মামলা / মির্জা আব্বাস-রিজভীসহ ১৬৭ নেতাকর্মীকে অব্যাহতি 

১০

সিনেমায় বাঙালিয়ানা কোথায়: রঞ্জিত মল্লিক

১১

দেশে কতবার গণভোট হয়েছে, কেমন ছিল ফলাফল

১২

ট্রাম্পকে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মাননা দেবে ইসরায়েল

১৩

শিক্ষা ভবনের সামনে ৭ কলেজ শিক্ষার্থীরা, যান চলাচল বন্ধ

১৪

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হবে কি না জানালেন প্রেস সচিব

১৫

আগামী সংসদের ওপর পিআর ইস্যু ছেড়ে দিতে বললেন মির্জা ফখরুল

১৬

দাবি মিজানুর রহমানের / বরিশালের হয়ে বিপিএল খেলবেন তামিম!

১৭

ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা, কিস্তির গ্যাঁড়াকলে জেলেরা দিশেহারা

১৮

তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য তহবিল গঠনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার

১৯

বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করল আরও এক দেশ

২০
X