সাত কলেজকে নিয়ে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ গঠনের প্রস্তাবিত অধ্যাদেশ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অংশীজনদের নিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, প্রকৃত প্রতিনিধি নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয় বিরোধীদেরই আলোচনায় অংশ নিতে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) আলোচনা সভা শেষে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক সৈয়দ আবদুল্লাহ আল ফাহাদ গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ আটকাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধের শক্তিকে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
ফাহাদ বলেন, আজ শিক্ষা উপদেষ্টা থেকে শুরু করে সব অংশীজনের সঙ্গে গোল টেবিল বৈঠকের কথা ছিল। সে অনুযায়ী প্রতিটি ক্যাম্পাসে প্রিন্সিপালদের কাছে নোটিশ পাঠানো হয় যে, বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলনের প্রতিনিধি নিয়ে স্বশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয় আন্দোলন করেছি তাদের নাম মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি।
তিনি অভিযোগ করেন, এখানে এমন ব্যক্তিদের পাঠানো হয়েছে, যারা বিশ্ববিদ্যালয় বা মডেলের বিপক্ষে কথা বলে। যেমন— তিতুমীর কলেজ থেকে যারা এসেছে, তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়বিরোধী। এমনকি তারা বলেছে, খসড়া বাতিল না হলে ঢাকা শহর অচল করে দেওয়া হবে যা সম্পূর্ণ হাস্যকর বিষয়। আমরা যখন মতামত দিতে যাই, তখন প্রিন্সিপালের সাইন করা প্রতিনিধিরা আমাদের কথা বলতে বাধা দেয়। ফলে সেখানে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়।
অন্যদিকে ইডেন কলেজের প্রিন্সিপাল মনোনীত প্রতিনিধি ইকরা বলেন, প্রিন্সিপাল স্যার আজ আমাদের প্রতিনিধি করে পাঠিয়েছেন। আগে যারা প্রতিনিধি ছিল তারা স্বঘোষিত প্রতিনিধি। ইউজিসি কীভাবে তাদের নাম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে, সেটি প্রশ্নবিদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, আমরা নিজেদের প্রতিনিধি বলিনি, আমাদের কলেজ থেকে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু যারা আগে প্রতিনিধি ছিল— তাদের প্রতিনিধি বানিয়েছে কারা? কে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, সেটিই প্রশ্ন।
মন্তব্য করুন