বলিউডের পর্দা যেমন ঝলমলে, তেমনি এর আড়ালেও আছে অনেক না বলা গল্প। এমনই এক চমকে দেওয়া ঘটনা একসময় ঘটে গিয়েছিল দুই কিংবদন্তি, রেখা ও সরোজ খানের মধ্যে। একদিকে বলিউডের ‘ডান্স মাস্টার’ সরোজ খান, অন্যদিকে রূপে-গুণে অনন্যা রেখা। কিন্তু সেই দুজনের সম্পর্কেও এসেছিল এমন এক মোড়, যার পরিণতিতে নীরবতা ভেঙে কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা নিজে। সরোজ খানের মন্তব্যে কেন এতটা কষ্ট পেয়েছিলেন রেখা? কী হয়েছিল সেই দিন?
ভারতীয় এক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সালের ঘটনা। ‘শেষনাগ’ ছবিতে এক নাচের দৃশ্য কোরিওগ্রাফ করার দায়িত্ব পড়ে সরোজ খানের ওপর। সে সময় সরোজ জানান রেখা কিছুতেই সময় দিতে পারছিলেন না। তার কথায়, ‘আমাদের প্রযোজক খুব অল্প সময় দিয়েছিলেন, মাত্র তিন দিন ছিল রিহার্সালের জন্য। আমি ও আমার টিম অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রযোজককে জানাই এবার রেখাকে পাঠানোর জন্য’।
তিনি আরও বলেন, নাচটি ছিল খুবই শক্ত। কিন্তু বার-বার ডাকা সত্ত্বেও আসেননি রেখা। ওদিকে সময় বেরিয়ে যাচ্ছিল। প্রযোজক তাড়া দিচ্ছিল। পরে সরোজ জানতে পারেন, রেখা অন্য জায়গায় সে সময় শুটিং করছিলেন ।
এ বিষয়ে সরোজ বলেন, ‘যেদিন এল, শুধু মেকআপ করে এল। কস্টিউম পরেনি। গাড়িতে বসেই বলে শরীর খারাপ তাই শুট করতে পারবে না। এরপর আমি রেখাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করি ও কি আমায় সহ্য করতে পারে না? রিহার্সালে আসে না। এমনকি শুটিংয়ে এসেও করতে চাইছে না। যদি এমন হয় তবে প্রযোজককে বলে কোরিওগ্রাফার বদল করে নিক’। কোরিওগ্রাফারের এমন কথা শুনে নিতে পারেননি রেখা। তার চোখ ভরে ওঠে পানিতে এবং কিছু না বলে নাচের দৃশ্যের শুটিং করেন রেখা।
এরপর সরোজের সঙ্গে দেখা হয় রেখার। তখন অভিনেত্রী তাকে বলেন, ‘আমি আপনাকে এত শ্রদ্ধা করি, আর আপনি কিনা বললেন আমি আপনার কাজ পছন্দ করি না”। অভিমানে সেদিন আমার চোখে জল এসেছিল’। পরে যদিও সব মিটমাট হয়ে যায় তাদের মধ্যে।
মন্তব্য করুন