কীভাবে এগোলে লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে—এ বিষয়ে তরুণতের পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক জায়েদ খান। নেশা করা, ঘুমিয়ে সময় কাটানো ও ফেসবুকে সময় ব্যয় করাকে নিরুৎসাহী করেছেন এই অভিনেতা। নারীর পেছনে ছুটতেও বারণ করেছেন জায়েদ।
সংবাদমাধ্যমের একটি ভিজ্যুয়াল অনুষ্ঠানে চিত্রনায়ক বলেন, তরুণ প্রজন্মকে আমি বলব— আগে নিজেকে গড়তে হবে। নেশা করে, ঘুমিয়ে বা ফেসবুকের সময় দিয়ে জীবনের লক্ষ্যে কখনোই পৌঁছতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, বাবা-মাকে ভালোবাসতে হবে। পারিবারিক হতে হবে। প্রচুর কষ্ট করতে হবে। ইয়াং বয়সে তুমি যত কষ্ট করবে, সামনের বয়সটা তুমি তত আরামে কাটাতে পারবে।
টাকা ও নারীর পেছনে ছোটার বিষয়ে জায়েদ খান তরুণদের বলেন, তরুণ প্রজন্ম টাকার পেছনে ছুটবে পরে, আগে কাজের পেছনে ছুটতে হবে; তাহলে টাকা তোমার পেছনে ছুটবে। অনেক মেয়ে মানুষের পেছনে দৌড়ে সময় নষ্ট করার কোনো কারণ দেখছি না। তুমি নিজে প্রতিষ্ঠিত হও, নিজের পায়ে দাঁড়াও। নারীই তোমাকে খুঁজে নেবে তোমার পজিশন অনুযায়ী। কারণ দিনশেষে নারী যোগ্য ও সম্মানিত লোককে খুঁজে নেয়, যে তাদের সম্মান করতে পারে।
জায়েদ বলেন, শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষা অর্জন করতে হবে। সৎ থাকতে হবে। আমি এত কথা বলতে পারি কারণ আমি সৎ ও ট্রান্সপারেন্ট । সততা, স্বচ্ছতা ও কঠোর পরিশ্রম—এই তিনের সমন্বয় যখন হবে, তোমার মধ্যে যখন কাজের গতি তৈরি হবে, তখন তোমাকে আর কেউ আটকে রাখতে পারবে না। ট্রেনের মতো শুধু ছুটবে।
এ সময় নিজের জীবনের সংগ্রমের কথাও ব্যক্ত করেছেন জায়েদ খান। বলেছেন, আমি ভোর পাঁচটায় উঠে বসে থাকতাম একটা শর্টের জন্য। অনেক কষ্ট করেছি লাইফে। শর্টকাট বলে কোনো শব্দ নেই। ২০০৬ সালে আমার ক্যারিয়ার শুরু। তার আগে অনেক স্ট্রাগল। না খেয়ে থাকা, হাঁটা, গেটে দাঁড়িয়ে থাকা; নায়িকাকে গাড়িতে নিয়ে প্রডিউসার চলে যেত, আমি গাড়িতে ধাক্কা খেতে খেতে চলে আসতাম।
তিনি আরও বলেন, আমার কিন্তু একদিনে এই পপুলারিটি আসেনি, লোকে স্ট্রল করুক, হাসুক। জায়েদ খানকে নিয়ে মানুষ চিন্তা করে, জায়েদ খানকে নিয়ে মানুষ ভাবে এমবি খরচ করে। জায়েদ খান দামি জিনিস পরে—এটাও সত্য।
মন্তব্য করুন