জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট সবার সচেতনতা বাড়ানোর প্রক্রিয়াকে আরও জোরদার করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের টিকাদান কর্মসূচির সফলতার ক্রমধারায় প্রাণঘাতী জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনরা এ গুরুত্বারোপ করেন।
জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম)-এর অডিটোরিয়ামে সোমবার (২ অক্টোবর) সকালে এ টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইদুর রহমান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মাদ খুরশীদ আলম। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের হেলথ সেকশনের প্রধান মায়া ভ্যানডেনেন্টসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আরো অনেকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশ সরকার দেশের প্রতিটি মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ভ্যাকসিনের মাধ্যমে প্রতিরোধযোগ্য প্রায় সব রোগের বিরুদ্ধে আমরা ইতোমধ্যে সাফল্য অর্জন করেছি। যার মাধ্যমে মা ও শিশুমৃত্যু হার কমিয়ে আনার পাশাপাশি পঙ্গুত্ব নিরোধেও সাফল্য কম নয়। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানে আমাদের সাফল্য বিশ্বের কাছে রোলমডেল। এই সাফল্যের ধারবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালে গাভির (Gavi) তরফ থেকে পেয়েছেন ভ্যাকসিন হিরো অ্যাওয়ার্ড। এই কার্যক্রম উদ্বোধনের মাধ্যমে জীবন বিপন্নকারী জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে আজ আমরা একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। এক ডোজ এইচপিভি ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে জরায়ুমুখ ক্যান্সার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চাই।
ইউনিসেফ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় এবং বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালিত এই ভ্যাকসিন কার্যক্রমের আওতায় ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণি বা সমমান অধ্যায়রত এবং ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বহির্ভূত কিশোরীদের বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা প্রদান করা হবে।
মন্তব্য করুন