দেশের ৩০ শতাংশ মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময়ে থাইরয়েড আক্রান্ত হয়ে থাকেন বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। রোববার (২৫ মে) বাংলাদশ মেডিকেল বিশ্বিবদ্যালয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেসে (নিনমাস) বিশ্ব থাইরয়েড দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে চিকিৎসকরা এ কথা বলেন।
সেমিনারে খাইরয়েড গ্রন্থির বিভিন্ন রোগসমূহ শীর্ষক বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিনমাসের থাইরয়েড বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. জেসমিন ফেরদৌস।
চিকিৎসকরা বলেন, ঘাইরয়েড গ্রন্থি শরীরের হরমোন নিঃসরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। যা শরীরের বিপাক হার হৃদস্পন্দন, রক্তচাপ, ওজন এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। কিন্তু এই ছোট্ট গ্রন্থিতে জটিলতা দেখা দিলে শরীরের নানা গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে সমস্যা দেখা দিতে পারে। হাইপোথাইরয়েডিজম, হাইপারথাইরয়েডিজম, গলগন্ড, থাইরয়েড ক্যানসারসহ নানা জটিলতা এই গ্রন্থিকে কেন্দ্র করে তৈরি হতে পারে। সারা বিশ্বে প্রায় ৭১ কোটির বেশি মানুষ এবং বাংলাদেশে প্রায় ৩০% মানুষ জীবনের কোনো না কোনো সময়ে থাইরয়েড গ্রন্থির রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এদের মাঝে ৮০% মানুষ জানেই না যে তারা থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত। থাইরয়েড গ্রন্থির রোগ সম্পরকে অধিকাংশ মানুষের অজানা। এই অজ্ঞতার কারনে মানুষ বিশেষ করে শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতায় ভুগছে।
বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, প্রাথমিক পর্যায়ে থাইরয়েড সমস্যা নির্ণয় করা গেলে তা খুব সহজেই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিন্তু সচেতনতার অভাব, উপসর্গ উপেক্ষা করা এবং সময়মতো পরীক্ষা না করানো অনেক সময় বড় ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। থাইরয়েড সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা এখন সময়ের দাবি। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে। এখন দরকার সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করা।
এর আগে সকালে দিবস উপলক্ষে বেলুন উড়িয়ে একটি সচেতনতামূলক র্যালিটির করা হয়। উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এ করিম ও বাংলাদেশ থাইরয়েড সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফওজিয়া মোসলেম। র্যালিটিতে উপস্থিত ছিলেন বিটিএস এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ফরিদুল আলম, নিনমাসের পরিচালক ও বি টি এস এর যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এ কে এম ফজলুল বারী, বিটিএস এর ট্রেজারার ও নিনমাসের প্রাক্তন পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফাতিমা বেগম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন