মাসিকের সময় শরীরে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে—পেট ব্যথা, বদহজম, মেজাজ খারাপ, আবার কখনো অদ্ভুত খাবারের প্রতি তীব্র ইচ্ছে হয়। অনেকেই এমন সময়ে মসলাদার বা ঝাল খাবার খেতে চান। কিন্তু এই সময় ঝাল খাওয়া শরীরের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর?
আরও পড়ুন : সকালের তাড়াহুড়োয় খেতে পারেন যে ৭ স্বাস্থ্যকর খাবার
আরও পড়ুন : শীত আসছে, ঠোঁটের যত্ন নিন এ সহজ ৫ উপায়ে
চলুন সহজভাবে জেনে নেওয়া যাক পিরিয়ডের সময় মসলাদার খাবার খাওয়ার ভালোমন্দ।
না, মসলাদার খাবার নিজে থেকেই ক্ষতিকর নয়। তবে সেটা নির্ভর করে আপনি কতটা খান, কী ধরনের মসলা খাচ্ছেন এবং আপনার শরীর কীভাবে তা গ্রহণ করছে।
কেউ কেউ মসলা খেয়ে আরাম পান, আবার কারও ক্ষেত্রে পেটের গ্যাস বা খিঁচুনির সমস্যা বেড়ে যায়।
- পেট জ্বালা বা এসিডিটি
- গ্যাস ও পেট ফাঁপা
- ডায়রিয়া বা হজমে সমস্যা
- খিঁচুনির ব্যথা আরও বেড়ে যাওয়া
তাই আপনি যদি পিরিয়ডের সময় এমন সমস্যায় পড়েন, তাহলে মসলা খাওয়াটা কিছুদিনের জন্য কমিয়ে দিন।
আদা : বমি ভাব ও হজমের অস্বস্তি কমায়
হলুদ : প্রদাহ কমায়, পেট ফাঁপা দূর করে
কাঁচা মরিচ (সামান্য) : ঝাল হলেও অল্প পরিমাণে রুচি বাড়ায়
ধনিয়া ও পুদিনা : হজমে সাহায্য করে, পেট ঠাণ্ডা রাখে
এই মসলাগুলো সাধারণত হালকা এবং শরীরের ওপর খুব একটা চাপ ফেলে না।
- অতিরিক্ত লাল মরিচ
- অতিরিক্ত তেল-ঘি বা গাঢ় মসলা
- প্রসেসড বা ফাস্ট ফুডে ব্যবহৃত কৃত্রিম ফ্লেভারিং
- সবসময় হালকা, ঘরে রান্না করা খাবার খান
- বেশি তেল বা ঝাল বাদ দিন যদি পেট সংবেদনশীল হয়
- প্রচুর পানি খান, শরীর যেন হাইড্রেটেড থাকে
আপনার শরীর কীভাবে কোন খাবারে প্রতিক্রিয়া জানায়, তা খেয়াল করুন।
আরও পড়ুন : রাতে খাবার বন্ধ করলে ওজন কমে কি
আরও পড়ুন : সকালে খালি পেটে যে ৭ কাজ শরীরের ক্ষতি করে
পিরিয়ডের সময় মসলাদার খাবার খাওয়া যাবে কি না, সেটা নির্ভর করে আপনার শরীরের ওপর। কারও জন্য এটা আরামদায়ক, আবার কারও জন্য হতে পারে বিরক্তির কারণ। তাই পরিমাণ বুঝে এবং নিজের শরীরের প্রতিক্রিয়া অনুযায়ী মসলা খাওয়া উচিত।
নিজের শরীরকে বুঝে তবেই সিদ্ধান্ত নিন—ঝাল খাবেন, না কিছুদিন বিরতি দেবেন।
সূত্র : ফ্লো হেল্থ
মন্তব্য করুন