বৈশাখের শুরুতে পড়তে থাকে গরম। গ্রীষ্মের তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ। এ গরম থেকে মুক্তি পেতে মানুষ কতকিছুই না করে থাকে। তবে গরম থেকে মুক্তি পেতে সবকিছু করলেও শরীরে ও খাবারে প্রতি অনীহা দেখা দেয়।
প্রকৃতিতে এমন কিছু খাবার আছে যা খেলে এ গরমে শরীর ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি সুস্থও রাখবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু নির্দিষ্ট খাবার আছে যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং হাইড্রেশন বজায় রাখতে সাহায্য করে। সম্প্রতি স্কাই বোল্ডের এক প্রতিবেদনে ওঠে আসে এ তথ্য।
তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক, গরমে কোন খাবারগুলো শরীরে তাপমাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহাস্য করে-
তরমুজ
গ্রীষ্মের তাপদাহে শরীরকে ঠান্ডা ও হাইড্রেটেড রাখার জন্য তরমুজ একটি আদর্শ খাবার। তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি, যা শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গ্রীষ্মের তীব্র গরমে শরীরকে ঠান্ডা ও সতেজ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই গ্রীষ্মকালে প্রতিদিন তরমুজ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী।
দই
গ্রীষ্মে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে দই একটি চমৎকার খাবার হতে পারে। এতে উপস্থিত প্রোবায়োটিকস পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে, যা গ্রীষ্মকালীন হজমের সমস্যাগুলি কমায়। দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে, এবং এটি সজীব ও সতেজ রাখে। দই থেকে আপনি লাচ্ছিও তৈরি করতে পারেন, যা শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখে এবং হজমে সহায়ক।
ডাব
গ্রীষ্মের তীব্র গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ডাবের জল একটি উপকারী এবং প্রাকৃতিক উপায়। এর মধ্যে থাকা ইলেক্ট্রোলাইট শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করে, ফলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং গ্রীষ্মকালের প্রভাব কমে।
স্যালাড
গ্রীষ্মের দিনে শরীরকে সুস্থ রাখতে স্যালাড অবশ্যই খাদ্যতালিকায় যুক্ত করা উচিত। এতে থাকা ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে সতেজ এবং শক্তিশালী রাখে।
লেবুর পানি
গ্রীষ্মকালে শরীরকে সতেজ ও হাইড্রেটেড রাখতে লেবু পানি একটি আদর্শ পানীয়। এতে থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত লেবু পানি পান করলে গ্রীষ্মের দিনগুলোতে শরীর সুস্থ ও প্রাণবন্ত থাকে।
মন্তব্য করুন