চায়ের সঙ্গে বাঙালির সম্পর্ক অনেকটা গানের মতোই ‘চিরদিনই তুমি যে আমার, যুগে যুগে আমি তোমারি’! বাঙালিদের সকালে ঘুম থেকে ওঠে এক কাপ চা। কিংবা বন্ধুর সঙ্গে আড্ডায় এক কাপ চা। না হয় কাজের ব্যস্তায় এক কাপ চা। বলছিলাম চা-প্রেমীদের কথা। গ্রীষ্ম, বর্ষা বা শীত চা-প্রেমীদের চা খাওয়া জন্য কোনো সময়ের প্রয়োজন হয় না।
জীবনে একবারও চা খাননি এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। ছোট বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবার প্রয়োজন শুধু এক কাপ চা। তবে আজকের দিনটি চা-প্রেমীদের জন্য। কারণ আজ বিশ্ব চা দিবস। দিনটি উদ্যাপন করতে আজ এক কাপ চা বেশি খেতে পারেন।
দিনটি উদ্যাপন করতে সবাই একত্রিত হয়ে মেতে উঠতে পারেন চায়ের আড্ডায়। নতুন-পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে একটা চা সন্ধ্যা আয়োজন হতেই পারে। বৃষ্টিতে যেখানে কেউ বাইরে যেতে সাহস করে না, সেখানে শুধু এক কাপ চায়ের জন্য ছুটে যান অনেকে। এমন চা-প্রেমীদের সংখ্যা মোটেও কম না।
ন্যাশনাল টুডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতি সেকেন্ডে মানুষ ২৫ হাজার কাপ চা পান করেন। অর্থাৎ প্রতিদিন দুই বিলিয়ন কাপেরও বেশি চা পান করা হয়।
২০০৫ সালে চা উৎপাদন করা দেশগুলো চা দিবস পালন করে। দেশগুলো হলো- শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, মালয়েশিয়া ও উগান্ডা। পরে ২০১৯ সালে ২১ মে বিশ্ব চা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ চা দিবসকে সম্মতি দেয়।
জানা গেছে, ভারত ও চীনে চায়ের ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে। চা পানে এই দুটি দেশ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩৭ শতাংশ অবদান রাখে। চা মূলত চীন থেকে এসেছে।
চা নিয়ে একেকজনের চাহিদা থেকে চিন্তাভাবনা, একেক রকম হতে পারে। যেটা একজনের জন্য প্রয়োজনীয় বা পরম আকাঙ্ক্ষার, সেটিই হয়তো ঠিক আরেকজনের ‘কাপ অব টি’ হয়ে উঠতে পারে না। তবে যেমনটাই হোক, তাতে আমাদের জীবন-মৃত্যুর পুরো চক্রেই চায়ের যে প্রবল আধিপত্য, তাকে এড়ানোর উপায় নেই। নিজের পছন্দসই এক কাপ চা নিয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে কিছুক্ষণ বসুন, অথবা একান্তই নিজের সঙ্গে নিজে কিছু সময় কাটান, দেখবেন দিনটা খুব একটা খারাপ মনে হবে না।
মন্তব্য করুন