ভয়ংকর রূপ নিতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। ধারণা করা হচ্ছে রোববার (২৬ মে) দুপুর নাগাদ অতিপ্রবল হিসেবে দেশের উপকূল অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে ঝড়টি। এখন পর্যন্ত ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
রিমালের প্রভাবে শুধু উপকূলীয় না দেশের আট বিভাগেই বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাড়ির ইলেকট্রিক পণ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বাড়িতে থাকা ফ্রিজ, টিভি, এসি, চিমনি, গিজার ও আরও যেসব ইলেকট্রিক পণ্য আছে তা নষ্ট হতে পারে। এ ছাড়া প্রভাব পড়তে পারে ফোন, ল্যাপটপের মতো দরকারি জিনিসগুলোর উপরও।
ইলেকট্রিক এসব পণ্য রক্ষায় যা যা করবেন-
ঘূর্ণিঝড়ের মতো পরিস্থিতিতে আগেই ফোন, ল্যাপটপ, চার্জ ব্যাংক ফুল চার্জ করে নিন। এ ছাড়াও ঘরে থাকা চিমনি, মাইক্রো ওভেন, ওয়াশিং মেশিন অনেকের বাড়িতেই থাকে। এগুলোর নির্দিষ্ট কাজ সেরে রাখুন।
কাজ সেরে যন্ত্রগুলো সুরক্ষিত রাখার জন্য সুইচ অফ করে দিন। পাশাপাশি প্লাগও খুলে রেখে দিন। এতে তুমুল বজ্রপাত হলেও ইলেকট্রিক জিনিস নষ্ট হওয়ার ভয় থাকবে না।
এ ছাড়াও সার্জ প্রটেক্টর ব্যবহার করতে পারেন। এটি বজ্রবিদ্যুতের সময় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ কোনও মেশিনে প্রবেশ করতে চাইলে তা শোষণ করে নেয়।
অনেক পণ্য এমন আছে যা ব্যাটারি দ্বাড়া চালিত হয়। এ জন্য হয়তো ভাবছেন এগুলো তো ক্ষতি হবে না, এমনটা ভাববেন না। বজ্রপাতের সময় সেগুলো ব্যবহার করা মোটেই নিরাপদ নয়।
ঘূর্ণিঝড়ে নিরাপদ থাকতে কী করবেন?
১. বাড়ির কাছাকাছি থাকা মরা গাছের ডাল ছেঁটে ফেলুন। গাছের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। যাতে বাড়ির ওপর এসে না পড়ে।
২. টিনের পাতলা শিট, লোহার কৌটা যেখানে সেখানে পড়ে থাকলে এক জায়গায় জড়ো করুন। না হলে ঝড়ের সময় এর থেকে বিপদ হতে পারে।
৩. কাঠের তক্তা কাছে রাখুন যাতে কাচের জানালায় সাপোর্ট দেওয়া যায়।
৪. ফোন, ল্যাপটপ ও অন্যান্য জরুরি বৈদ্যুতিক যন্ত্র আগে থেকেই চার্জ দিয়ে রাখুন।
৫. হালকা শুকনো খাবার রাখুন বড়সড় বিপদের জন্য।
৬. পর্যাপ্ত পানি মজুত রাখুন।
৭. যে ঘরটি সবচেয়ে নিরাপদ সেখানে আশ্রয় নিন।
৮. বাড়ির পোষ্য ও গবাদিপশুদেরও নিরাপদ স্থানে এনে রাখুন।
৯. বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ঠিক থাকলে টিভি খবরে নজর রাখুন। না হলে রেডিও চালিয়ে রাখতে পারেন।
১০. ঝড় থামতেই বাইরে বের হবেন না। অপেক্ষা করুন কারণ ঘূর্ণিঝড় চক্রাকারে ঘোরে।
মন্তব্য করুন