কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৪, ০৮:০২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের ধরা হচ্ছে : হারুন

ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। পুরোনো ছবি
ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। পুরোনো ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে ঢাকা মহানগরীতে সরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর, সহিংসতা ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড হয়েছে। এসব ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, আমাদের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চেক করছি কে কিভাবে আগুন লাগিয়েছে এবং মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। এসব ধ্বংসাত্মক ঘটনার সঙ্গে জড়িত অনেকের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে।

রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া ও লুটপাটের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তারের পর বুধবার (২৪ জুলাই) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

মঙ্গলবার রাতে মহাখালী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার দুজন হলেন- জজ মিয়া (২৭) ও মো. রাকিব (২২)।

হারুন অর রশীদ বলেন, আন্দোলনের নামে ঢাকা শহরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাট করা হয়েছে। মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা ও আহত করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি ডাটা সেন্টারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। হামলার রসদ সরবরাহ করার তথ্যপ্রমাণ আমাদের হাতে আছে।

তিনি বলেন, সেতু ভবনে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির কিছু নেতা টাকাপয়সা দিয়ে সাততলা বস্তি এবং কুড়িল বস্তিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন সংগ্রহ করেছে। এরপর মহাখালীতে জড়ো হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরবর্তীতে তারা সেতু ভবনে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং লুটপাট চালায়।

আমাদের হাতে আসা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে তারা কিভাবে আগুন লাগায় এবং মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় জড়িত অনেকের নাম-পরিচয় পেয়েছি।

হারুন বলেন, গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাত বিএনপি ও জামায়াত নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তারা হলেন- ঢাকা উত্তর যুবদলের সাবেক সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, বিএনপি নেতা বরকতুল্লা বুলুর ছেলে সানিয়াত বুলু, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহসভাপতি মোশারফ হোসেন খোকন ওরফে কাইল্লা খোকন, কৃষক দলের সহসভাপতি নাসির উদ্দিন, ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান দয়াল, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা এস এম কামাল উদ্দিন ও ভাটারা থানার আমির রেজাউল করিম। তারা পুলিশ মারা ও আগুন দেওয়ার জন্যও টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এসব ঘটনায় আর কে নির্দেশনা দিয়েছে, কারা অর্থায়ন করেছে সব বের করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইয়াবা লুটের অভিযোগ : ছাত্রদল নেতার পদত্যাগ

১৯ জুলাই ‘জাতীয় সমাবেশ’ সফল করুন : গোলাম পরওয়ার

দেশে মুক্তি পাচ্ছে হলিউডের দুই সিনেমা

পিলখানায় বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধন বিজিবি মহাপরিচালকের

ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় অনুপস্থিত ২৫৬৪৫ জন

চূড়ান্ত হলো শাকিব খানের নতুন সিনেমা

ডেঙ্গু প্রতিরোধে নূরুল ইসলাম মণি ফাউন্ডেশনের লিফলেট বিতরণ

আশুরাকে কেন্দ্র করে সুসংহত নিরাপত্তা গ্রহণ ডিএমপির

অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন ভারতীয় নাগরিক, অতঃপর...

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন সম্ভব না : এ্যানি

১০

পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল দুই ভাইয়ের

১১

ভারতে পাকিস্তানি তারকাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার?

১২

তুরস্কের ‘খপ্পর’ থেকে বাঁচতে ইসরায়েলে ঝুঁকছে সিরিয়া

১৩

ছাড়পত্র ছাড়াই খোলা আকাশের নিচে তৈরি করত সিসা, অতঃপর...

১৪

গুপ্তচরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে নতুন বিপদে ইরান

১৫

বাংলাদেশ থেকে কুয়েতে গিয়ে ফুটপাতে চাঁদাবাজি

১৬

ইরান ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রেখেছিল ইসরায়েল

১৭

‘স্বাধীনতা সংগ্রাম’ ভাস্কর্য সংস্কারের দাবিতে ঢাবি উপাচার্যকে স্মারকলিপি

১৮

এনসিসি ব্যাংকের কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ থাকবে

১৯

ভয়ংকর মার্কিন অ্যাপাচি হেলিকপ্টার পাচ্ছে ভারত

২০
X