কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৫:১৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গোপনীয়তা হরণকারী সংস্থার বিলুপ্তি চান নাগরিক সমাজ

গোলটেবিল বৈঠক আলোচনায় নাগরিক সমাজের সদস্যরা। ছবি : কালবেলা
গোলটেবিল বৈঠক আলোচনায় নাগরিক সমাজের সদস্যরা। ছবি : কালবেলা

রাষ্ট্রের নাগরিকদের ফোন কলে আড়িপাতা, গোপনীয়তা হরণ করা এবং বাক স্বাধীনতায় বাধা প্রদানকারী সংস্থার বিলুপ্তি চান নাগরিক সমাজ। ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি), টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের (ডট) মতো সংস্থাগুলো রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার নামে রাজনৈতিক দলের হাতিয়ারে পরিণত হওয়ার অভিযোগে এগুলো বিলুপ্ত করার দাবি সুশীল সমাজের।

শনিবার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর কাওরান বাজারে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংলাপে এ দাবি উত্থাপন করেন বক্তারা।

বেসিসের সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর সংলাপে সূচনা বক্তব্যে বলেন, টেলিকম অপারেটররা লাইসেন্স গাইডলাইনের কারণে সরাসরি ফোন কল ট্যাপ করার সুবিধা দিতে বাধ্য। এছাড়াও সংবিধান ও আইন লঙ্ঘন করে নির্দিষ্ট স্থান বা টার্গেট ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক ইন্টারসেপ্ট করেও সরাসরি ডিভাইসে অ্যাক্সেস নেওয়া হয়। কিন্তু কী সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়; এমন পরিস্থিতিতে আইনি অধিকার নেওয়ার থাকলেও কোনো নাগরিকই সে সুযোগটা নিয়েছেন বলে জানা যায়নি। তাই এ বিষয়ে আমাদের করণীয় নিয়ে ভাবতে হবে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবির) নির্বাহী পরিচালক ইফতোরুজ্জামান বলেন, নজরদারিভিত্তিক রাষ্ট্র তৈরির অন্যতম কারণ ক্ষমতা। ক্ষমতায় থাকতে হবে এবং ক্ষমতা থেকে নেমে আসতে যেন না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে এসব করা হয়েছে। দেশে একটা সংস্থা বা কমিশন নেই যেখানে দলীয়করণ করা হয়নি। এনটিএমসির কোনো প্রয়োজন নেই। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা এবং একটি দলের হয়ে কাজ করা এক না। এসব প্রতিষ্ঠান চিরস্থায়ীভাবে বিলুপ্ত করতে হবে।

সিনিয়র সাংবাদিক আশরাফ কায়সার বলেন, সরকার পরিবর্তনের ২০ দিন পরও নিরাপদে কথা বলার মাধ্যম খুঁজছি। সংবিধানে দেওয়া নাগরিক হিসেবে আমার অধিকার চাই। এধরনের প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা বিলুপ্ত করতে হবে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার নামে এসব সংস্থা রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্য পূরণ করেছে। তাই এসব সংস্থা থাকতে পারে না।

সিনিয়র সাংবাদিক গোলাম মর্তুজা বলেন, পেগাসাসসহ ইসরায়েলি কেনা পণ্য এবং এগুলো দিয়ে যেসব অন্যায় করা হয়েছে, সেগুলো কার নির্দেশে হয়েছে, অর্থ কিভাবে পরিশোধ হয়েছে, সেগুলো এ সরকারের কাছে জানতে চাই।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি বলেন, আড়িপাতা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা দরকার। তারা কী কী করেছেন জানতে হবে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার নামে সবকিছু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন। আদালতের অনুমতি ছাড়া এবং শুধু আদালতের ব্যবহারের উদ্দেশ্য ছাড়া কারও গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা হবে না, এমন আইন করতে হবে।

এ সময় অন্যদের মাঝে আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সাইবার বিশেষজ্ঞ সুমন সাব্বির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ বিএম মইনুল হোসেন বক্তব্য দেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মশা নিধনে আমেরিকান প্রযুক্তির বিটিআই ব্যবহার শুরু করল চসিক

ববি শিক্ষার্থীকে রাতভর র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

এনসিপির কমিটি নিয়ে বিরোধ তুঙ্গে, সাংবাদিকদের হেনস্তা-তালাবদ্ধ করার হুমকি

খালেদা জিয়ার অসুস্থতার জন্য আ.লীগ সরকার দায়ী : মুশফিকুর রহমান

আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ছুটি চাইলেন বার্সা ডিফেন্ডার

খালেদা জিয়াকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত ভারত : মোদি

বন্ধুকে কুপিয়ে হত্যার কারণ জানালেন অস্ত্র হাতে থানায় যাওয়া যুবক

প্রাইভেটকারচাপায় প্রাণ গেল সাবেক ইউপি সদস্যের

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে গভীর উদ্বেগ নরেন্দ্র মোদির

আরব আমিরাতে অনলাইনে ভোটার নিবন্ধন শুরু, প্রবাসীদের উচ্ছ্বাস

১০

টিউলিপ সিদ্দিকের রায় নিয়ে যা বলছে লেবার পার্টি

১১

সিলেট নয় ঢাকাতেই শুরু হবে বিপিএল

১২

খালেদা জিয়ার জানের সাদকা হিসেবে ছাগল দান বিএনপি নেতা আজাদের

১৩

নগরজুড়ে আতঙ্ক, চট্টগ্রামে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে অপরাধীরা

১৪

রাজশাহীতে জিয়া পরিষদের সভাপতি ড. নেছার উদ্দিন ও সম্পাদক সালাউদ্দিন

১৫

গাড়িতে মাথা ঘোরা-বমি ভাব? সাহায্য করবে আইফোনের এই গোপন ফিচার

১৬

এভারকেয়ার হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

১৭

আদালতে হাজির হলেন নেতানিয়াহু

১৮

জুলাই আন্দোলনে বাঁধা, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ জনকে শাস্তি

১৯

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিলে মাসুদুজ্জামান

২০
X