কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ভারত থেকে কোথায় যাচ্ছেন শেখ হাসিনা?

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

কোথায় আবাস গড়বেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা? দেশে ফিরবেন কবে? নাকি ভারতেই রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে থেকে যাবেন? শেখ হাসিনাকে নিয়ে ঘুরেফিরেই সামনে আসছে এসব প্রশ্ন। এর আগে গুঞ্জন ছড়ায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

শেখ হাসিনা এখনো অন্তত ৪টি দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব অথবা ফিনল্যান্ডে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বাংলাদেশের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল দ্য কনভারসেশনের প্রতিবেদনে এমনটিই বলা হয়েছে।

তবে এমন কথা আগেও ছড়িয়েছিল বিভিন্ন মাধ্যমে। সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় জানান, তার মা আপাতত কোথাও যাচ্ছেন না। কোথাও যাবার জন্য আবেদনও করেননি। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে তিনি দেশে ফিরবেন বলেও জানান জয়।

ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ভারত শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিলে ফেরত পাঠানোর সমীকরণটা কেমন হবে? প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত যদি শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর মর্যাদা দেয়, সে ক্ষেত্রে হাসিনাকে ফেরানো কঠিন হবে। তার কারণ কোনো রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ভারতের কাছে বাধ্যবাধকতা থাকবে না। তবে ঢাকা-দিল্লির মধ্যকার নতুন সম্পর্ক জোরদার করতে হাসিনা ইস্যু ভারতের জন্য অস্বস্তির হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে, ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে নাখোশ বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ শীর্ষ পর্যায়ের রাজনৈতিক দলগুলো। শুধু তাই নয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারাও হাসিনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর কথা বলছেন। এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। একই সঙ্গে গণহত্যার অভিযোগে তদন্ত চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে।

এমন আবহে ভারতীয় সংবাদ সংস্থার পিটিআইয়ের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে হাসিনাকে ভারত থেকে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

উল্লেখ্য, গত জুলাইয়ের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। ওই আন্দোলন দমনে ছাত্রলীগসহ তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সংগঠন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলা-নির্যাতনের একপর্যায়ে তা সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। কোটা সংস্কার আন্দোলন দমন করতে গুলি করে মারা হয় শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের। একপর্যায়ে ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারত যান শেখ হাসিনা। যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলের অবসান ঘটে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সেনাবাহিনীর হাতে ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্য আটক 

ইবি ছাত্রের রহস্যজন্যক মৃত্যুর তদন্তের দাবিতে ছাত্রশিবিরের টর্চ মিছিল

বাঙলা কলেজ শিক্ষার্থী শহীদ সাগরের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

কেশবপুরে ৩১ দফার প্রচারণায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অমলেন্দু দাস অপু

মাদ্রাসা টিকে আছে বলেই আমাদের ওপর বিভিন্ন ঝড় ঝাপটা আসে : ধর্ম উপদেষ্টা 

ইউনিভার্সিটি ইনোভেশন হাব স্বপ্ন গড়ার সূতিকাগার

রাজবাড়ী জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদ বাঙলা কলেজ শাখার কমিটি গঠন

গণঅভ্যুত্থান মেহনতি মানুষের কষ্ট লাঘব করেনি : সাইফুল হক 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের ফেসবুক পোস্ট

মাদকাসক্ত যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল মা ও ভাই

১০

এবার পুলিশের সামনেই চাপাতি দেখিয়ে ছিনতাইয়ের ভিডিও ভাইরাল 

১১

বৃষ্টির দেখা নেই, আমন চাষে বিপাকে কৃষক

১২

প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষায় কারা সুযোগ পাবে, বাছাই হবে যেভাবে

১৩

হাসপাতালের লিফটের নিচে পড়ে ছিল রোগীর অর্ধগলিত লাশ

১৪

পরিবারের সবাই ইয়াবা বিক্রেতা, অতঃপর…

১৫

নির্বাচন পেছাতে ‘সংস্কার-বিচারের’ নামে এখনো ষড়যন্ত্র চলছে : আমিনুল হক

১৬

ডাকাতের রশির ফাঁদে যুবকের মৃত্যু, আহত ২

১৭

সরকার উসকানি দিয়ে এনসিপিকে গোপালগঞ্জ পাঠিয়েছে : ড. রেদোয়ান

১৮

জুলাই আন্দোলনে শহীদ তিন পরিবারে কান্না থামেনি আজও

১৯

মুজিববাদের কবর দিতে গোপালগঞ্জ যাওয়ার দরকার নেই : এ্যানি

২০
X