কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪১ পিএম
আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সম্প্রদায়িক সহিংসতার তদন্ত দাবি ঐক্য পরিষদের

সংবাদ সম্মেলন করেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। ছবি : কালবেলা
সংবাদ সম্মেলন করেছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। ছবি : কালবেলা

জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সম্প্রদায়িক সহিংসতার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল রোজারিও এ দাবি জানান।

তিনি জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা পতন পরবর্তী সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে সাম্প্রদায়িক নৃশংসতার ঘটনাবলীর পাশাপাশি ১৯৯০ এর অক্টোবর থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সংখ্যালঘুদের ওপর সংঘটিত সব মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার ঘটনাবলীর নির্মম ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা হোক জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে। নিরুপিত করা হোক সংখ্যালঘুদের ওপর অব্যাহত সহিংস ঘটনাবলী রাষ্ট্রীয়, রাজনৈতিক না সাম্প্রদায়িক। এসব ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদেরও বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর আহ্বান জানান হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এই সভাপতি।

নির্মল রোজারিও জানান, গত ৪ আগস্ট থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত দেশের ৭৬ টি জেলা ও মহানগরের মধ্যে ৬৮ টি জেলা ও মহানগরে সর্বমোট ২হাজার ১০টি সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ১হাজার ৭০৫টি পরিবারের সদস্যরা সরাসরি আক্রান্ত হয়েছেন। ওই পরিবারগুলোর মধ্যে ১৫৭টি পরিবার রয়েছে যাদের বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। খুলনা বিভাগে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে, যেখানে চারজন নারী ধর্ষিত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন বাকপ্রতিবন্ধী।

তিনি আরও জানান, সহিংসতার শিকার পরিবারগুলোর মধ্যে ৩৪টি আদিবাসী সম্প্রদায়ের পরিবার রয়েছে, যাদের বসতবাড়ি লুটপাট ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে কয়েকটি পরিবারের জমি জবরদখল করা হয়েছে।

হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের এই সভাপতি বলেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ৬৯ টি উপাসনালয়ে হামলা ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। প্রতিটি বিভাগেই এ ঘটনা ঘটেছে। সহিংসতাই প্রায় ৫০ হাজার নর-নারী কিশোর কিশোরী শিশু ও প্রতিবন্ধী মানুষ সরাসরি আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া ট্রমায় আক্রান্তরা বর্তমানে আতঙ্ক ও ভয়ের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। ১৫৭টি পরিবার রয়েছে, যারা বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অর্থ সম্পদ সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতাপরবর্তী কোনো সরকারের আমলে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর সংঘটিত কোনো হামলার ঘটনার এখন পর্যন্ত বিচার হয়নি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জকসু নির্বাচনে ভোট গণনা পদ্ধতি নিয়ে জবিশিস ও ইউটিএলের পাল্টাপাল্টি মতামত

মার্কিন আইনপ্রণেতার চিঠির বিষয়ে জানেন না প্রেস সচিব

‘হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার করতে না পারার খেসারত দিল সিয়াম’

জবি শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে রইছ-ইমরানুল

এক বছরে চট্টগ্রাম নগরীতে সড়কে প্রাণহানি ১৩৭

বড়দিন উপলক্ষে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বিনিময়

আগামীকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত শাহজালাল বিমানবন্দরে ভিজিটর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে জরুরি নির্দেশনা

মধুর ক্যান্টিনে ভাঙচুর

তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে চট্টগ্রামে বিএনপির ‘গণ যাত্রা’

১০

ইউসেপ বাংলাদেশের আয়োজনে জব ফেয়ার-২০২৫ অনুষ্ঠিত

১১

বড়দিন উপলক্ষে মেহজাবীনের সম্প্রতি বার্তা

১২

তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে নাটোরের লক্ষাধিক নেতাকর্মী ঢাকায়

১৩

আ.লীগের বিষয়ে ড. ইউনূসকে যা বললেন মার্কিন ৫ কংগ্রেসম্যান

১৪

ক্লাব নটরডেমিয়ান্সের প্রেসিডেন্ট হলেন সৈয়দ নাসের বখতিয়ার

১৫

দেশে ফেরার জন্য কেন ২৫ ডিসেম্বর বেছে নিলেন তারেক রহমান, জানালেন মাহদি আমিন

১৬

অবসরপ্রাপ্তরা ৩ বছর আগে নির্বাচন করতে পারবেন না: হাইকোর্ট

১৭

চার দিনব্যাপী রিহ্যাব মেলা ২০২৫, আশিয়ান সিটির স্টল নং-৮

১৮

মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে বোমা নিক্ষেপ, নিহত ১

১৯

এনটিএমসি বিলুপ্ত ও ইন্টারনেট বন্ধের সুযোগ নিষিদ্ধ করে নতুন অধ্যাদেশ

২০
X