কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

দেশবরেণ্য সাংবাদিক আতাউস সামাদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত
দেশবরেণ্য সাংবাদিক আতাউস সামাদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবি : সংগৃহীত

দেশবরেণ্য সাংবাদিক আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদের আয়োজনে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আলোচনা ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন রয়র্টার্সের আলোকচিত্রি সাংবাদিক রফিকুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন শওকত মাহমুদ, সরকার আবু খ্রিস্টাব্দে, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন, প্রায়ত আতাউস সামাদের ভাতিজা ইশতিয়াক আজিজ উলফা, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি সাংবাদিক এম আব্দুল্লাহ, আমার দেশ পত্রিকার বার্তা সম্পাদক জাহিদ চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, বি এফ ইউজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বাসিত জামাল, সাংবাদিক ইউনিয়নে সহসভাপতি মোহাম্মদ মহসিন, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সম্পাদক ড.সাদিকুল ইসলাম স্বপন।

আতাউস সামাদের স্মৃতিচারণ করে বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সাংবাদিকতার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য সহযোগিতা করেছেন আতাউস সামাদ। শুধু তাই নয় দেশে যখন স্বৈরাচারের আর্বিভাব ঘটেছে তখন তার বিরুদ্ধে কলম দিয়ে লড়েছেন। গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অক্লান্ত যোদ্ধা ছিলেন তিনি। একজন আপাদমস্তক আদর্শিক মানুষ ছিলেন সামাদ।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহামুদ বলেন, আতাউস সামাদের অন্তর্বোধে একটা আগুন ছিল। হতাশা তো বটেই। তার ‘একালের বয়ান’ বইয়ে কষ্টের উল্লেখটা পরিষ্কার পাওয়া যায়-‘জীবনের এতোটা পথ হাঁটলাম, কিন্তু আলোর দেখা পেলাম না। কবে দেখব দেশকে উদ্ভাসিত আলোয়? সময় তো নিষ্ঠুর, কাউকে রেয়াত করে না’। কেন লেখেন এমন প্রশ্নে বাংলাভাষার কালজয়ী ঔপন্যাসিক মহাশ্বেতা দেবী বলেছিলেন, স্বাধীনতার একত্রিশ বছরেও আমি অন্ন, জল, জমি, ঋণ বেঠবেগারী কোনটি থেকে মানুষকে মুক্তি পেতে দেখলাম না। তার বিরুদ্ধে নিরঞ্জন, শুভ্র ও সূর্য- সমান ক্রোধই আমার সকল লেখার প্রেরণা।

তিনি আরও বলেন, আতাউস সামাদ ছিলেন, একজন পাবলিক ইন্টেলেকচুয়াল। দেশ ও মানুষ অন্তপ্রাণ। মানুষের অধিকার আর রাষ্ট্রের মুক্তির জন্য লেখালেখি এবং কিছু একটা করার তাগিদ সর্বদাই তার মনস্তত্বে ছিল। মৌলক ও মানবাধিকারের জন্য মিডিয়া ও রাজপথে সমান সক্রিয় ছিলেন। ১৯৯৪-৯৫ তে রাজনৈতিক সংকটকালে মধ্যস্থতার জন্য পাঁচ বুদ্ধিজীবী কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৭০-এ ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের স্লোগান দেওয়া, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং যখনই সরকার স্বৈরাচার হয়েছে সাংবাদিকতা এবং দায়িত্ববোধ নিয়ে রুখে দাঁড়ানোর ঘটনাবলিতে তিনি অবিস্মরণীয়। শেখ হাসিনার কুশাসনকালে তাকে পড়তে হয়েছে রোষানলে, এরশাদের আমলে জেল খেটেছেন। তিনি ও বিবিসি একাত্মা হয়ে গিয়েছিল। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ১০ জানুয়ারি দিল্লি থেকে শেখ মুজিবের দেশে ফেরার ফ্লাইটে তিনি একমাত্র সাংবাদিক সহযাত্রী ছিলেন। বাংলাদেশের সকল শাসকই এই ‘গোলমেলে’ লোকটাকে সমীহ করতেন ধড়ফড় বুকে।

প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, দেশ সব সময় স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়। সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয় না। আমার প্রশ্ন দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে? পত্রিকার পাতায় এবং টেলিভিশনে তাই দেখতে পেতাম।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মাদারীপুরে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

বয়স বাড়লে কি মা হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে? জানুন ডাক্তারদের ভাষায়

কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঝালকাঠিতে র‌্যালি

ফের লঘুচাপের আভাস, ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

ত্রিপুরার ঘটনায় বাংলাদেশের নিন্দা 

ময়মনসিংহে বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন / ‘কালবেলা নতুন নতুন খবর নিয়ে পাঠকদের আকৃষ্ট করে যাচ্ছে’

স্বপ্নের নতুন আউটলেট এখন ধানমন্ডি সাত মসজিদ রোডে

সুন্দর দেশ বিনির্মাণে কালবেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে : ডিসি আশরাফুর 

সিটি ব্যাংকে চাকরির সুযোগ, অভিজ্ঞতা ছাড়াই করতে পারবেন আবেদন

জুলাই সনদ স্বাক্ষর নিয়ে সরকারের নতুন বিবৃতি

১০

কোয়ালিটি কন্ট্রোল বিভাগে চাকরি দিচ্ছে হোন্ডা

১১

জাকেরকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যে বিরক্ত সিমন্স

১২

শনিবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়

১৩

কালবেলা বৈষম্যহীনভাবে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে : ডিসি সারওয়ার

১৪

পুরো সংসদ ভবন ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী

১৫

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, সংসদ ভবন ছাড়লেন জুলাই যোদ্ধারা

১৬

২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য বিক্রি হয়েছে এক মিলিয়নের বেশি টিকিট

১৭

সীমান্তে আত্মঘাতী হামলায় ৭ পাকিস্তানি সেনা নিহত

১৮

জামায়াতের এমপি প্রার্থীকে হারিয়ে সভাপতি ছাত্রদল নেতা

১৯

 ‘জুলাই সনদ’ তারেক রহমানের ৩১ দফার আংশিক প্রতিফলন : প্রিন্স 

২০
X