শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ পিএম
আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পতিত স্বৈরাচার পুলিশকে দলীয় কর্মীর মতো ব্যবহার করেছে : ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত

পতিত স্বৈরাচার পুলিশকে দলীয় কর্মীর মতো ব্যবহার করেছে। বাধ্য হয়ে তাদের অনেকেই গণহত্যায় অংশ নিয়েছেন। খুবই স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে তারা জনরোষের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষ্যে রোববার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, জনরোষের শিকার হওয়ায় পুলিশের মনোবল অনেক কমে যায়। আমরা পুলিশের মনোবল ফিরিয়ে এনে তাদের আবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি। এক্ষেত্রে অনেক দৃশ্যমান উন্নতিও হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকেও কিছু নির্বাহী ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতিতে সহায়তা করেছে।

সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, কঠিন সময়ে আপনারা সবাই অপরিসীম ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। ধন্যবাদ জানাই দেশের রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে। তারা তাদের কর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রতিশোধ স্পৃহায় লিপ্ত হয়ে কেউ যাতে হানাহানিতে জড়িয়ে না পড়ে সেই আহ্বান জানিয়েছেন। আপনাদের এই আহ্বানে সবাই সাড়া দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফ্যাসিবাদী শক্তি ভয় দেখিয়েছিল তারা ক্ষমতা ছাড়লে দেশে লাখ লাখ লোক মারা পড়বে। টানা সাত দিন পুলিশ প্রশাসন সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় থাকার পরও ব্যাপক আকারে সহিংসতা এড়ানো গেছে।

ড. ইউনূস বলেন, আমরা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি, বাংলাদেশ তখন সম্পূর্ণ অরক্ষিত একটা দেশ। এসময় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে অহেতুক আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে তারা সহিংসতারও শিকার হয়েছেন। কিন্তু এটা নিয়ে যেসব প্রচার-প্রচারণা হয়েছে তা ছিল সম্পূর্ণ অতিরঞ্জিত। অল্প যেসমস্ত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে তার মূল কারণ ছিল রাজনৈতিক। কিন্তু এসব ঘটনাকে ধর্মীয় আবরণ দিয়ে বাংলাদেশকে নতুন করে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা হয়েছে। আপনাদের সবার সহযোগিতায় আমরা দৃঢ়ভাবে এ পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর বৈঠক শনিবার

আড়াইহাজারে শহীদ নাহিদের পরিবারের পাশে নজরুল ইসলাম আজাদ

নিউইয়র্ক টাইমসের বিরুদ্ধে আদিবাসী গোষ্ঠীর মামলা

পিনাকী, ইলিয়াস ও কনকের ঐক্যবদ্ধ আহ্বান

সকাল ৯টার মধ্যে ১০ জেলায় ঝড়ের আশঙ্কা

খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, আ.লীগ নেতার মৃত্যু

কাপ্তাই হ্রদে পানির অভাব, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিপর্যয়

ছাগলের দৌড় দেখতে হাজারো মানুষের ভিড় 

দুদকের সাবেক ৩ চেয়ারম্যানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

সৌদিতে ফ্ল্যাটে মিলল দুই ভাইয়ের মরদেহ, পরিবারে শোকের ছায়া

১০

পাল্টাপাল্টি আকাশপথ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়াল ভারত-পাকিস্তান

১১

জাতীয় নির্বাচন দাবি করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতার পদত্যাগ

১২

সাবেক ওসি প্রদীপের ফাঁসি কার্যকর দাবিতে প্রচার, যা জানা গেছে

১৩

দেশ নিয়ে দিল্লি ও ওয়াশিংটনের প্রেসক্রিপশনে পরিকল্পনা চলছে : জুলাই ঐক্য

১৪

ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবিতে অনশন, হাসপাতালে দুই

১৫

সান্ডা থেকে গাধা : মানুষের তামাশায় প্রাণীরাও আজ নিরাপদ নয়!

১৬

সরকারকে নিরপেক্ষ বৈশিষ্ট্য নিশ্চিত করতে হবে : সাইফুল হক

১৭

রিকশাচালকের ছেলের স্বপ্নপূরণে পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

১৮

চবিতে পর্দা উঠল জাতীয় ছায়া আইনসভার

১৯

মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের ছবি নিয়ে বিভ্রান্তি, যা জানা গেল

২০
X