কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫৩ এএম
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১১ এএম
অনলাইন সংস্করণ

সাইবার বুলিং রাখার বিধান থেকে সরে এসেছে সরকার : ফয়েজ আহমেদ

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের নীতি পরামর্শক (সমন্বয় ও সংস্কার) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ছবি : সংগৃহীত
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের নীতি পরামর্শক (সমন্বয় ও সংস্কার) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ছবি : সংগৃহীত

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ নিয়ে যেসব উদ্বেগ আসছে তা নিয়ে আলোচনা করছে সরকার। সাইবার বুলিং রাখার বিধান থেকে সরকার সরে এসেছে। এটা যৌন নিপীড়ন সম্পর্কিত বিধান হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের নীতি পরামর্শক (সমন্বয় ও সংস্কার) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে বাংলামোটর জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ডেটা ভিশন তারুণ্যের বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি বিপ্লব আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

সম্প্রতি সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪-এর খসড়ার অনুমোদন দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। যেখানে সাইবার বুলিং, বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারসহ বেশ কিছু বিধান নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে।

ফয়েজ আহমদ বলেন, দায়িত্বের অংশ হিসেবে পলিসি অ্যাডভাইজর বিভিন্ন সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র যেমন- সেমিকন্ডাক্টর, সাইবার সিকিউরিটিসহ যেসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রয়োজন সে ক্ষেত্রগুলো নিয়ে পরিকল্পনা হচ্ছে। বাংলাদেশের সাইবার প্রোটেকশন অর্ডিনেন্সের আধুনিকায়নের পাশাপাশি জনগণের মতামত আমলে নিয়ে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় সংশোধন হবে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ডাটা প্রটেকশন অ্যাক্ট তৈরি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডাটা এভেন্যু তৈরি এবং সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন।

ফয়েজ আহমদ আরও বলেন, ইন্ডাস্ট্রি, একাডেমিয়া এবং সরকারের সম্মিলিত উদ্যোগ এবং পরিকল্পনার উপর গুরুত্ব দিয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রয়োজনীয় ল্যাব তৈরি এবং ট্রেনিং ফ্যাসিলিটি তৈরি করা হবে। একইসঙ্গে আইসিটি এবং টেলিকমিউনিকেশনের বিভিন্ন খাতে বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের রেখে যাওয়া মনোপলি এবং দুর্নীতির ইতি টেনে ইন্টারনেটের দাম কমানো এবং ইন্টারনেটের স্পিড বৃদ্ধি করা হবে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম আইসিটি বিভাগের এই নীতি পরামর্শকের কাছে নিজের কিছু চাওয়া তুলে ধরেন। সেগুলো হলো আইসিটি খাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের আমলনামা করা ও লুটপাটের জন্য যেসব ধান্দাবাজির প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো বাতিল করা; সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও মুঠোফোনে সক্রিয় তরুণদের সেখানে উৎপাদনশীল কাজে লাগানো যায় কি না- সে চিন্তা করা; আইসিটি বিভাগের উদ্যোগ ও সুযোগগুলো কী কী এবং তা কীভাবে পাওয়া যাবে- তার সহজবোধ্য প্রচারণা এবং নতুন কোনো ভবন না করে আগের ভবনগুলোর ব্যবহার নিশ্চিত করা।

সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য মো. আজাহার উদ্দিন অনিক এবং সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পানিতে ডুবে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

সাজেক থেকে ক্যাম্পাসে ফেরা হলো না খুবি ছাত্রীর

ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ ৩৮ বাংলাদেশির সন্ধান মিলেছে

বিজিবির অভিযানে ৩০ হাজার মার্কিন ডলার উদ্ধার

এশিয়া কাপে পাকিস্তানি ফিল্ডারের থ্রোয়ে আহত আম্পায়ার

‘ভুল করে মায়ের পাসপোর্ট নিয়ে জেদ্দায় যান পাইলট মুনতাসির’

শাহীনের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সুপার ফোরে পাকিস্তান

সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগ

এশিয়া কাপে পাকিস্তান ওপেনারের লজ্জার রেকর্ড

চট্টগ্রামে আ.লীগ কর্মীদের বাসা ভাড়া না দিতে মাইকিং

১০

ভারতে ‘মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবা’ সংক্রমণে ১৯ জনের মৃত্যু

১১

বনানীতে দুই শিসা বারে ডিএনসির অভিযান

১২

বয়কটের হুমকি দিয়েও না করার কারণ জানালেন পিসিবি প্রধান

১৩

কর্মচারী দিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা পরিচালনার অভিযোগ

১৪

শাহীন ঝড়ে বাঁচা-মরার ম্যাচে লড়াকু সংগ্রহ পাকিস্তানের

১৫

‘গোলাপী খালার’ পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

১৬

পরাজিত শক্তির সঙ্গে আঁতাতের রাজনীতি মঙ্গলজনক হবে না: নীরব

১৭

চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সমালোচনার কারণ কী?

১৮

রাকসু নির্বাচন / ভোটকেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় আনাসহ ৭ দফা দাবি ছাত্রশিবিরের

১৯

দীর্ঘ ৬ বছর পর বুটেক্সে ক্যারিয়ার ফেয়ার অনুষ্ঠিত

২০
X