ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কাওলা) থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশ খুলছে আগামী ২ সেপ্টেম্বর। ইতোমধ্যে টোলও নির্ধারণ করেছে সরকার।
রোববার (২০ আগস্ট) সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই টোলের হার ঘোষণা করেন।
এ সময় সেতুমন্ত্রী বলেন, গাড়ি, ট্যাক্সি, জিপ, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিক্যাল (এসইউভি), মাইক্রোবাস (১৬ সিটের কম) ও হালকা ট্রাকের (৩ টনের কম) জন্য টোল (ভ্যাটসহ) ৮০ টাকা। মাঝারি ট্রাকের জন্য (৬ চাকা পর্যন্ত) ৩২০ টাকা। ৬ চাকার বেশি ট্রাকের জন্য ৪০০ টাকা। আর সব ধরনের বাসের (১৬ সিট বা এর বেশি) জন্য টোল ১৬০ টাকা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই এক্সপ্রেসওয়ের একাংশের উদ্বোধন উপলক্ষে শেরেবাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে সুধী-সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর নিচে তৈরি করা বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে ২৮ অক্টোবর আনোয়ারায়, এমআরটি লাইন-৫ নর্দার্ন রুটের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন উপলক্ষে ১৬ সেপ্টেম্বর সাভারে এবং মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ উদ্বোধন উপলক্ষে ২০ অক্টোবর বিকাল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সুধী-সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সুধী সমাবেশে এগুলো উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় এ পর্যন্ত যত অবকাঠামো প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সবচেয়ে বড়। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বনানী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত এ উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য হবে ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। মূল উড়ালসড়কে ওঠানামার জন্য ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র্যাম্প থাকবে। র্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য দাঁড়াচ্ছে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
২০১১ সালে হাতে নেওয়া এ প্রকল্প চালু হওয়ার কথা ছিল ২০১৩ সালে। তবে নানা জটিলতায় প্রায় এক যুগ পিছিয়েছে নির্মাণকাজ। প্রকল্পের মোট ব্যয় ৮ হাজার ৯৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ২ হাজার ৪১৩ কো ৮৪ লাখ টাকা। বাকি টাকা দেবে নির্মাতা থাইল্যান্ড ও চীনের তিন কোম্পানি।
মন্তব্য করুন