বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে জনদুর্ভোগ কমাতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (০৬ মে) সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএমপির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল নির্ধারিত টোল পরিশোধ করে সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতিসীমা মেনে ও এক্সপ্রেসওয়ের বাম পাশের সেইফ লেন ব্যবহার করে সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করেছে। তবে এ গতিসীমা ও লেন না মানলে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকরা শাস্তির মুখে পড়বেন বলেও জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ওভার স্পিড ও লেন পরিবর্তন করলে আইন প্রয়োগের জন্য পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আগমনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য যানজট ও জনদুর্ভোগ এড়াতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার জন্য এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উন্মুক্ত করার অনুরোধ জানায়। সে অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ৭টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এসব যানবাহন এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করতে পারবে। প্রতিটি যানবাহনের জন্য নির্ধারিত টোল ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরিচালক এ এইচ এম সাখাওয়াত আখতার জানান, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশা চলতে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি সাময়িক। ঢাকা মহানগর পুলিশের অনুরোধেই তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
চার মাস ধরে লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা শেষে আজ দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (০৬ মে) সকালে কাতারের আমিরের পাঠানো একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন। তার সঙ্গে থাকবেন দুই পুত্রবধূ। খালেদা জিয়ার আগমনকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একইসঙ্গে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে আসা নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কয়েকটি নির্দেশনাও জারি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ শারীরিক নানা অসুস্থতায় ভুগছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক হীন স্বার্থ চরিতার্থ করতে উদ্দেশ্যমূলক মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ সময় কারাবন্দি করে রাখে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার আবেদন অগ্রাহ্য করে চিকিৎসা বাধাগ্রস্ত করে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর বেগম খালেদা জিয়ার ন্যায়বিচার প্রাপ্তির পথ সুগম হয়। আইনি লড়াইয়ে তিনি সব মামলা মোকাবিলা করছেন। ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতও তার বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে করা মামলাগুলোকে হয়রানিমূলক বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে।
মন্তব্য করুন