কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ মে ২০২৫, ১২:১৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

দেশকে নতুন করে গড়তে পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ জরুরি : প্রধান উপদেষ্টা

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত

দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে ঐক্য, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আস্থার পরিবেশ জরুরি বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

‘মহান মে দিবস ২০২৫’ ও ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। ড. ইউনূস বলেন, শ্রমিকদের আত্মত্যাগ ও অধিকার আদায়ের ইতিহাস থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সমাজে সংহতি গড়ে তোলা সময়ের দাবি।

ড. ইউনূস বলেন, বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে বাংলাদেশে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে- এটা আনন্দের বিষয়।

বাণীতে তিনি বলেন, ১৮৮৬ সালের ১ মে শিকাগোর হে মার্কেটে শ্রমিকদের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে দৈনিক ৮ ঘণ্টা শ্রম, ন্যায্য মজুরি ও শ্রমের মর্যাদা আদায়ের যে দাবি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেয়েছে, তা আজও শ্রমজীবী মানুষের জন্য প্রেরণার উৎস।

তিনি বলেন, এই দিনটি শুধু একটি দিবস নয়, বরং এটি শ্রমিক অধিকারের আন্দোলনের প্রতীক। আমি তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা এ অধিকার আদায়ে আত্মত্যাগ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্কের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে মে দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। এ বছর মে দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়ব এদেশ নতুন করে’ আমাদের দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। শ্রমিক ও মালিক পরস্পরের পরিপূরক এবং তাদের যৌথ প্রচেষ্টাই একটি শক্তিশালী, আত্মনির্ভর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাক, কৃষি, শিল্প, নির্মাণ, পরিবহণ ও প্রযুক্তি- প্রতিটি খাতের অগ্রগতির পেছনে শ্রমিক ও মালিকের মেধা ও নিরলস পরিশ্রম রয়েছে। জুলাই-আগস্টের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন রচিত হয়েছিল, তা বাস্তবায়নে আমাদের ঐক্য ও সহযোগিতার ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মহান মে দিবসের পাশাপাশি আমরা ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস-২০২৫’ পালন করছি। শ্রমিকের ন্যায্য স্বীকৃতি ও সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা শুধু শ্রমিকদের অধিকারই নয়, এটি শিল্প ও অর্থনীতির উন্নয়নেরও অন্যতম শর্ত। শ্রমিকের জীবনমান উন্নয়ন ও কল্যাণ পুরো শিল্পখাত এবং দেশের অর্থনীতিতে প্রতিফলিত হয়।

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন-যাত্রায় শ্রমিক ও মালিকের অংশীদারিত্ব দেশের অগ্রগতিকে আরও ত্বরান্বিত করবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শেখ হাসিনার প্রকাশ্য ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে : রাশেদ প্রধান

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে জয়পুরহাটে আনন্দ মিছিল

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে আবু সাঈদের বাবার প্রতিক্রিয়া

বনানীতে উদ্বোধন হলো সেভয়ের প্রথম ফ্ল্যাগশিপ আউটলেট

জনগণকে যে আহ্বান জানাল অন্তর্বর্তী সরকার

মৃত্যুদণ্ডের রায়ে কষ্ট অনুভব করছেন আইনজীবী আমির হোসেন

গ্রামীণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ

ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ও উদ্ভাবনী অর্থনীতি : বাংলাদেশের পরবর্তী চালিকাশক্তি

২১ নভেম্বর উপলক্ষে আইএসপিআরের বার্তা

২৩ মাস পর বিএনপি নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১০

তালাকের পর দুধ দিয়ে গোসল করলেন জুয়েল

১১

কান্নার শব্দ শুনে পরিত্যক্ত শৌচাগারে মিলল নবজাতক

১২

মজলুমের দোয়া আজ কবুল হলো : শামারুহ মির্জা

১৩

শেখ হাসিনার রায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিবৃতি

১৪

পাশের দেশ অশান্তির উসকানি দিচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৫

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্ট্যাটাস

১৬

সেনাবাহিনীর ‘মিডনাইট অপারেশন’ : অস্ত্র-গুলিসহ আটক ১

১৭

বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে যা বললেন ভারত কোচ

১৮

হোয়াটসঅ্যাপ আনছে নতুন ফিচার

১৯

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে স্বাগত জানিয়ে ঢাবিতে ডাকসুর আনন্দ মিছিল

২০
X