কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ মে ২০২৫, ১২:৪৭ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে তানিয়া আমীরের বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

ছবি : সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে আইনজীবী তানিয়া আমীরের বক্তব্য বিভ্রান্তিকর এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

বুধবার (৩০ এপ্রিল) নিজেদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ সিএ প্রেস উইং ফ্যাক্টসে এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে আইনজীবী তানিয়া আমীরের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া মন্তব্যে তার নিজস্ব রাজনৈতিক এজেন্ডা প্রতিফলিত হয়েছে। তার বক্তব্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি তার পক্ষপাতিত্ব স্পষ্ট, যা মূলত একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান থেকে প্রভাবিত।

প্রেস উইং বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের সত্য উদ্‌ঘাটনে অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত উদ্যোগগুলো উপস্থাপন করে। উদ্যোগগুলো হচ্ছে :

তদন্ত কমিশনের উদ্যোগ : ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় অনুসন্ধান চালাতে ২০২৪ সালের ২২ ডিসেম্বর সরকার একটি সাত সদস্যবিশিষ্ট স্বাধীন জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে। এই কমিশনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এএলএম ফজলুর রহমান।

কমিশন ইতোমধ্যে প্রায় ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে। প্রয়োজন হলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সেনাপ্রধান মইন উ আহমেদকেও জিজ্ঞাসাবাদের পরিকল্পনা রয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।

গণবিজ্ঞপ্তি ও তথ্য সংগ্রহ : ২০২৫ সালের ১৮ এপ্রিল কমিশন একটি গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে সবাইকে নির্ভরযোগ্য তথ্য জমা দেওয়ার আহ্বান জানায়। গোপনীয়তা রক্ষার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়।

আইনি প্রক্রিয়া : জানুয়ারি ২০২৫-এ বিদ্রোহ সংশ্লিষ্ট মামলায় কয়েকশ’ সাবেক বিডিআর সদস্য জামিনে মুক্তি পান। তবে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের পরিবার জামিনের বিরোধিতা করে এবং ন্যায়বিচারের দাবি তোলে।

নিহতদের সম্মান : সরকার ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে এবং পিলখানায় নিহত ৫৭ সেনা কর্মকর্তাকে ‘শহীদ’ মর্যাদা দেয়।

তানিয়া আমিরের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা : প্রেস উইংয়ের মতে, তানিয়া আমির এবং তার পরিবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে যুক্ত। তিনি এবং তার বাবা ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নও চেয়েছিলেন। তাই জেনেভা প্রেস ক্লাবে দেওয়া তার বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বিবেচিত হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, তানিয়া আমিরের বক্তব্যে কোনো নতুন প্রমাণ নেই, বরং পুরোনো বিরোধী দাবিগুলোর পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে। সরকার ঘটনাটির স্বচ্ছ তদন্ত করছে এবং প্রকৃত সত্য উদঘাটনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আওয়ামী দুঃশাসনে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকরা: ডা. রফিক

ভারতের নজরদারিতে ১১ কোটি ডলারের ব্রিটিশ যুদ্ধবিমান

ক্রিস্টাল আইসসহ কুয়াকাটায় ৪ যুবক আটক

ছবিতে প্রথমে কী দেখছেন, উত্তরই বলে দেবে আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন

শ্বশুরবাড়িতে অবৈধভাবে চাল মজুত, ধরা খেলেন জামাই

বিজিবিতে বড় নিয়োগ, অষ্টম শ্রেণি পাসেও করা যাবে আবেদন

ঢাকায় বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস

সাতসকালে ঝরল ৩ প্রাণ

সিসা কারখানায় অভিযান, ৬ জনের কারাদণ্ড 

জাতীয় উদ্যানে হাতির হামলায় প্রাণ গেল দুই নারী পর্যটকের

১০

দুপুরের মধ্যে ঝড় হতে পারে যেসব জেলায় 

১১

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে আফগানিস্তান সরকারের পাশে রাশিয়া

১২

নাতি-নাতিকে দুনিয়াছাড়া ও ছেলের বউকে গণধর্ষণের হুমকি দিয়ে ডাকাতের চিঠি

১৩

‘গাজায় ৮৫ হাজার টন বিস্ফোরক নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েল’

১৪

এসএসসি পাস না করা শামীম পরিচয় দিতেন ব্যারিস্টার

১৫

গাজায় ৪৮ ঘণ্টার নারকীয় তাণ্ডব, নিহত ৩০০

১৬

০৪ জুলাই : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৭

০৪ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৮

শুক্রবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৯

আসামির হুমকি / ‘একটা মার্ডার করেছি, আরও ১০০টা করব’

২০
X