আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় কিংবা বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন জমিতে রেল কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমোদন ছাড়া কোনো ধরনের অস্থায়ী পশুর হাট বসাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
শুক্রবার (১৬ মে) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রেজাউল করিম সিদ্দিকীর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকদের উদ্দেশে একটি আধা সরকারি চিঠি পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, পশুর হাট বসানোর কারণে রেল চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি জননিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়ে। এতে ঈদযাত্রায় ট্রেনের সময়সূচি বিপর্যস্ত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়।
চিঠিতে বলা হয়, অনেক সময় রেলওয়ের জমিতে কিংবা রেললাইন ঘেঁষে পশুর হাট বসানো হলেও সেসব স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাযথভাবে নিশ্চিত করা হয় না, যা অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করে। তাই সরকার এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
তবে স্থানীয় বাস্তবতা বিবেচনায় কোনো স্থানে হাট বসানো জরুরি হলে কিছু শর্ত মানতে হবে বলে জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
শর্তগুলো হলো– রেলওয়ের পূর্বানুমোদন ছাড়া হাট স্থাপন করা যাবে না; ইজারাদারকে রেললাইন ঘেঁষে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বাঁশ বা উপযুক্ত উপকরণ দিয়ে ঘেরা বেষ্টনী (ফেন্সিং) নির্মাণ করতে হবে; ফেন্সিং এমনভাবে করতে হবে যাতে ট্রেন চলাচলে কোনো বিঘ্ন না ঘটে এবং মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় পুলিশ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বর্তমান সরকার সরকারি সম্পদের সুরক্ষা এবং সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অত্যন্ত সচেতন। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গৃহীত পদক্ষেপগুলো রেলপথ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের।
ঈদুল আজহা সামনে রেখে যেসব জেলায় রেললাইন সংলগ্ন এলাকায় হাট বসার আশঙ্কা রয়েছে সেগুলো হলো– মৌলভীবাজার, বগুড়া, দিনাজপুর, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা।
মন্তব্য করুন