কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ মে ২০২৫, ০১:১৭ এএম
আপডেট : ১৯ মে ২০২৫, ১০:৪৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ

বাংলাদেশের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ভারতের স্থলবন্দর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা : দিল্লি

বেনাপোল স্থলবন্দর। ছবি : সংগৃহীত
বেনাপোল স্থলবন্দর। ছবি : সংগৃহীত

সম্প্রতি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ও অন্যান্য ভোগ্যপণ্যে রপ্তানিতে ভারত যে স্থগিতাদেশ দিয়েছে, তা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে ন্যায্যতা ও সমতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে করা হয়েছে, এমনটা বলছে দিল্লির একাধিক সূত্র।

রোববার (১৮ মে) ভারতীয় সরকারি সূত্র বলছে, নয়াদিল্লির নেওয়া সিদ্ধান্তটি ভারতের সুতা ও চালের ওপর ঢাকার অনুরূপ বাণিজ্য বাধা বা নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিক্রিয়া হিসেবে নেওয়া হয়েছে।

গত শনিবার ভারত কেবল কলকাতা ও নহাভা শেভা সমুদ্রবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্থল ট্রানজিট পোস্টের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভোগ্যপণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে।

দেশটির সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, তৈরি পোশাক (আরএমজি), প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, কার্বনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, তুলা ও সুতার বর্জ্য মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরা, মিজোরাম এবং পশ্চিমবঙ্গের ফুলবাড়ি ও চ্যাংড়াবান্ধার স্থল শুল্ক স্টেশন এবং চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

ভারতীয় বিমানবন্দর ও বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্য পরিবহনের জন্য প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলা চুক্তি বাতিল করার পাঁচ সপ্তাহ পর বাংলাদেশি ভোগ্যপণ্যের ওপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।

সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে নির্বাচিত কিছু রপ্তানি পণ্যের ওপর ভারত কর্তৃক আরোপিত স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞা দুই দেশের সম্পর্কের সমতা ফিরিয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারত এত দিন বাংলাদেশ থেকে সব রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই অনুমোদন দিলেও, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ট্রানজিট ও বাজার প্রবেশাধিকার বাংলাদেশ দ্বারা সীমিত ছিল। ভারতের এই পদক্ষেপ উভয় দেশের জন্য সমান বাজারে প্রবেশাধিকার পুনরুদ্ধার করবে বলেও জানায় সূত্র।

নয়াদিল্লির অবস্থান

সম্প্রতি ভারতের দেওয়া এই বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে দেশটি চাইছে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক হবে পারস্পরিক স্বার্থে। এ ছাড়া নয়াদিল্লি বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলকে তার বন্দি বাজার হিসেবে বিবেচনা করারও বিরোধিতা করে সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সূত্র জানায়, বাংলাদেশকে বুঝতে হবে যে কেবল এক পক্ষের সুবিধার জন্য দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের শর্তাবলি বেছে নেওয়া উচিত নয়।

অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, মাত্র দুটি সমুদ্রবন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি সীমিত করা ভারতের সুতা ও চালের ওপর একই রকম বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি বাংলাদেশে রপ্তানি করা সব ভারতীয় পণ্যের ওপর নির্বাচনীভাবে পরিদর্শন বৃদ্ধির প্রতিকূল পদক্ষেপ।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যের জন্য উত্তর-পূর্বে ১১টি স্থল ট্রানজিট পয়েন্ট রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি আসামে, দুটি মেঘালয়ে এবং ছয়টি ত্রিপুরায়। ভারত আগে সব স্থলবাণিজ্য পয়েন্ট এবং সমুদ্রবন্দর দিয়ে এত দিন বিধিনিষেধ ছাড়াই বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির অনুমতি ছিল।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাডমিশন ফেয়ার শুরু

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত কড়াইলবাসীর পাশে দেশবন্ধু গ্রুপ

বস্তায় ভরে পুকুরে ডুবিয়ে ৮ কুকুর ছানা হত্যা

জোটবদ্ধ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের বিধান কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল

চলতি মাসে আসছে টানা ৩ দিনের ছুটি

নেতানিয়াহুকে দুঃসংবাদ দিলেন তার সাবেক আইনজীবী

বাংলাদেশে কারাদণ্ডের রায়ে টিউলিপের প্রতিক্রিয়া

যে ৫ লক্ষণে বুঝবেন আপনার শরীরে কোলেস্টেরল বাড়ছে

জামায়াত নেতার বাড়িতে আগুন, সব পুড়ে ছাই

প্রশাসনের ২২ কর্মকর্তার পদোন্নতি

১০

চকবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে

১১

নিঃশব্দে থাইরয়েড ক্যানসার বাড়ছে না তো? জানুন ৫ লক্ষণ

১২

মানবতাবিরোধী অপরাধ হলে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে : চিফ প্রসিকিউটর

১৩

আমরণ অনশনে বসলেন এনসিপি নেতা জাহাঙ্গীর

১৪

ডা. জাহিদের বক্তব্য ছাড়া খালেদা জিয়ার সংবাদ প্রকাশ না করার আহ্বান

১৫

তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা

১৬

ডিজিটাল কমার্স অব দ্য ইয়ার পুরস্কার পেল দারাজ বাংলাদেশ

১৭

যুবলীগ নেতার কয়েক কোটি টাকার সম্পদ ক্রোক করল দুদক

১৮

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত

১৯

মেট্রোরেল-এনেক্স কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চুক্তি স্বাক্ষর

২০
X