স্টারলিংকের প্রতিটি ডিভাইসের ওপর ট্যাক্স আরোপ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। এই দিনে দেশে নতুন টেলিগ্রাম সেবা যুক্ত হয়েছে। প্রথমবারের মতো স্যাটেলাইট ইন্টারনেটে প্রবেশ করলাম আমরা। স্টারলিংকের ডেটার লিমিট থাকবে না। আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহক।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
যেভাবে স্টারলিংক সংযোগ নেওয়া যাবে
বাংলাদেশের গ্রাহকরা এখন সরাসরি স্টারলিংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট (starlink.com)-এ গিয়ে সেবা অর্ডার করতে পারবেন। প্রথম ধাপে, ব্যবহারকারীদের তাদের ঠিকানা প্রদান করে নিশ্চিত করতে হবে যে স্টারলিংক সেবা সংশ্লিষ্ট এলাকায় উপলব্ধ কিনা। এরপর পছন্দ অনুযায়ী একটি সার্ভিস প্ল্যান নির্বাচন করে হার্ডওয়্যার কিট অর্ডার সম্পন্ন করতে হবে।
স্ট্যান্ডার্ড স্টারলিংক কিটে অন্তর্ভুক্ত থাকে একটি স্যাটেলাইট ডিশ, একটি ওয়াইফাই রাউটার, একটি মাউন্টিং ট্রাইপড ও প্রয়োজনীয় ক্যাবল।
সেটআপ প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ। শুধু বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে স্যাটেলাইট ডিশটিকে খোলা আকাশের দিকে মুখ করে এমন জায়গায় স্থাপন করতে হবে, যাতে এটি পরিষ্কারভাবে সিগন্যাল পেতে পারে।
স্টারলিংক প্যাকেজ
স্টারলিংক বর্তমানে বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য দুটি ইন্টারনেট প্যাকেজ অফার করছে। একটি স্টারলিংক রেসিডেনশিয়াল প্যাকেজ। যার মাসিক মূল্য ৬ হাজার টাকা। আর স্টারলিংক রেসিডেনশিয়াল লাইটের জন্য মাসিক খরচ হবে মাসিক ৪ হাজার ২০০ টাকা। উভয় প্যাকেজেই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে উচ্চগতির নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা প্রদান করা হয়, যা দেশের দুর্গম ও গ্রামীণ এলাকাগুলোর জন্য বিশেষভাবে কার্যকর।
এর জন্য হার্ডওয়্যার কিট কিনতে হবে এককালীন ৪৭ হাজার টাকায়। পাশাপাশি শিপিং ও হ্যান্ডেলিং চার্জ বাবদ এককালীন দিতে হবে দুই হাজার ৮০০ টাকা। ফলে সংযোগ ক্রয় বাবদ গ্রাহকদের খরচ পরবে ৪৯ হাজার ৮০০ টাকা।
ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, স্টারলিংক সংযোগ নিয়ে ৩০ দিন ব্যবহার করার পর সেবা 'সন্তোষজনক' মনে না হলে সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
ইনস্টলেশন ও ব্যবহার
স্টারলিংক কিট এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই নিজেরাই সেটআপ করতে পারেন। সেটআপের জন্য শুধু একটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে- স্যাটেলাইট ডিশটি যেন খোলা আকাশের নিচে স্থাপন করা হয়, যাতে এটি সঠিকভাবে সিগন্যাল গ্রহণ করতে পারে।
মন্তব্য করুন