বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে বিনিয়োগবান্ধব হিসেবে তুলে ধরতে দ্রুততম সময়ে স্টারলিংকের কার্যক্রম শুরু করতে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ তৈয়্যব আহমদ। এদিন রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে মঙ্গলবার স্টারলিংক চালু নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
স্টারলিংকের কার্যক্রম শুরু করা নিয়ে সরকার তড়িঘড়ি করে কেন সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, মূলত চারটি কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমটি হলো- গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানকালীন ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ায় গ্লোবাল কমিউনিটিতে বিনিয়োগ সক্ষমতার যে চিত্র ভয়াবহ রকমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেজন্য আমরা হাইস্পিড এবং হাইকোয়ালিটির ইন্টারনেটের টেকসই বিকল্প খুঁজেছিলাম। সে বিকল্প খুঁজতে গিয়েই স্টারলিংক নিয়ে আসা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, আমরা বিশ্বকে দেখাতে চেয়েছি যে, বাংলাদেশ বিনিয়োগবান্ধব। স্টারলিংক বাংলাদেশে এলে আরও বহু কোম্পানি আসবে। এরই মধ্যে আমরা তা দেখেছি। এনজিএসও অপারেটর হিসেবে কমপক্ষে চারটি কোম্পানি বাংলাদেশে আসার জন্য প্রস্তাব করেছে।
ফয়েজ তৈয়্যব বলেন, বাংলাদেশের যে ইন্টারনেট, এটি পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম নিকৃষ্ট। এই ইন্টারনেটের একটি বিকল্প কোয়ালিটি তৈরির দায় আমাদের ছিল। এছাড়া বাংলাদেশের যেসব ফ্রিল্যান্সার প্রতিনিয়ত ফরেন কোম্পানির সঙ্গে মিটিং করেন, মিটিংয়ের মাঝখানে তাদের ইন্টারনেট কানেকশন জুমটা বন্ধ হয়ে যায়। তারা ফরেন কাস্টমারের বেঁধে দেওয়া সময় মেনে চলতে পারেন না। এটি (স্টারলিংক) বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সার কমিউনিটির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
গত জুলাইতে বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থানকালীন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে মুক্ত পেশাজীবী বা ফ্রিল্যান্সাররা। এ সময় ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় দেশের ই-কমার্স ও এফ-কমার্স খাতে প্রতিদিন অন্তত ১২০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। সে সময় ১৩ দিনে প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছিল ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)।
মন্তব্য করুন