প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল এবং প্লাস্টিক পাদুকার উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট অব্যাহতি পুনঃবহালের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতি।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
এর আগে সেগুনবাগিচায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে সমিতির নেতারা জানান, পণ্যের ভ্যাট অব্যাহতি প্রত্যাহার করে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের ফলে ইতোমধ্যে বিদেশি পণ্য (সমজাতীয় চপ্পল ও পাদুকা) আমদানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে এ খাতে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হওয়ার পাশাপাশি দেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মাধ্যমে গড়ে ওঠা ক্রম-বিকাশমান এই শিল্প টিকিয়ে রাখা হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রারম্ভিক বক্তব্য সমিতির আইন উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মো. তাইফুল সিরাজ বলেন, প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল এবং পাদুকার উপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করার প্রস্তাব অত্যন্ত অযৌক্তিক। এটি কার্যকর হলে এই সাশ্রয়ী পণ্য সাধারণ জনগণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে। বিশেষত শ্রমজীবী, হকার, দিনমজুর, কৃষক, রিকশা-ভ্যান চালক এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রায় এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি পাদুকার উপর মূসক অব্যাহতি প্রদান করা হয়। কিন্তু চলতি অর্থবছরের মাঝপথে এসে বিগত ৯ জানুয়ারি জারিকৃত এসআরওর মাধ্যমে বিদ্যমান মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়। যার ধারাবাহিকতায়, প্রস্তাবিত ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেটে মূসক আরোপ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলন থেকে ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে অতিসত্বর ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান। আর দাবি পূরণ না হলে শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট এবং চূড়ান্তভাবে কারখানা বন্ধের মতো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।
মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সভাপতি হাজি মোহাম্মদ ফজলু, অফিস সচিব মো. ইমরুল কায়েসসহ উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যসহ অন্য নেতা এবং বিভিন্ন পাদুকা প্রতিষ্ঠানের মালিক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন