সেপ্টেম্বর থেকে দেড় লাখ পুলিশকে ভোটের বিষয়ে ট্রেনিং দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান উপদেষ্টা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সেপ্টেম্বর থেকে দেড় লাখ পুলিশকে ভোটের বিষয়ে ট্রেনিং দেওয়া হবে। এছাড়া নির্বাচনে ৬০ হাজার সেনা সদস্য কাজ করবে।
এর আগে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৮ জুলাই) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। এ সময় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি দিক নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা।
এদিকে চলতি সপ্তাহের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ স্পষ্ট হবে—গত শনিবার তৃতীয় দফায় ১৪টি রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে যমুনায় মতবিনিময়কালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এমন ইঙ্গিত দেন। তবে বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে কিছু উল্লেখ না থাকায় রাজনীতিতে এ নিয়ে এক ধরনের ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। দলগুলোও মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
এটাকে সাধুবাদ জানিয়ে বিএনপি বলেছে, নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনকে জানানো উচিত সরকারের। তাদের প্রত্যাশা, সরকার প্রতিশ্রুত আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচন হবে। অন্যদিকে বৈঠকে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা কিছু বলেননি বলে দাবি জামায়াতে ইসলামীর। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলেছে, সব দলের সঙ্গে আলোচনা না করে নির্বাচনের তারিখ সুনির্দিষ্ট বা খোলাসা করা যাবে না।
মন্তব্য করুন