পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ‘আগামী ২৩ আগস্ট বাংলাদেশ আসছেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী। তাকে স্বাগত জানাতে বাংলাদেশ প্রস্তুত এবং ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলো ঢাকা আলোচনার টেবিলে তুলে ধরবে।’
সোমবার (৪ আগস্ট) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়ে ভারতের উদ্বেগ রয়েছে—এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক কেমন হবে, সেটা যেমন বাংলাদেশ ঠিক করবে না; তেমনি পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়েও ভারত সিদ্ধান্ত নেবে না।’
পাকিস্তানের কাছ থেকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়ার ও যথাযথ ক্ষতিপূরণের বিষয়গুলো বাংলাদেশ উত্থাপন করবে কি না, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “প্রতিটি বিষয়ই আলোচনার টেবিলে থাকবে। অন্তর্বর্তী সরকার পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘বাস্তবসম্মত উপায়ে’ এগিয়ে যাচ্ছে।”
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘চলতি মাসের শেষের দিকে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের নির্ধারিত সফরের সময় সবকিছু আলোচনায় থাকবে।’
চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল ঢাকায় পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনায় পাকিস্তানের সঙ্গে ঐতিহাসিক অমীমাংসিত বিষয়গুলো উত্থাপন করে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী বাংলাদেশে যে নৃশংসতা চালিয়েছে, তার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়া ও পাকিস্তানের কাছ থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি আদায়ের বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কের দৃঢ় ভিত্তি তৈরি করতে এই বিষয়গুলোর সমাধান করা প্রয়োজন।’
চলতি মাসের শেষার্ধে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের ঢাকা সফরে ত্রিপক্ষীয় ব্যবস্থা নিয়ে কথা হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ঢাকা, বেইজিং ও ইসলামাবাদের মধ্যে কোনো জোট হয়নি। একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেটাও অনানুষ্ঠানিক। কিছুদিন পর আরও একটি বৈঠক হতে পারবে না, বিষয়টি এমন নয়। তবে বাংলাদেশ চায়, এতে সদস্যসংখ্যা বাড়ুক, আরও দু-একটা দেশ আসুক।’
মন্তব্য করুন