নোয়াখালীর এক মায়ের কোল একসঙ্গে ভরেছিল ছয় নবজাতক নিয়ে। কিন্তু সেই আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। একে একে পাঁচটি সন্তানই মারা গেছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছয়টি শিশুর জন্ম দেন মোকসেদা আক্তার। জন্মের পরপরই একটি শিশু মারা যায়। পরদিন সোমবার দুপুরের মধ্যেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরও চার নবজাতক।
এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক।
মোকসেদার বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামে। তার স্বামী মো. হানিফ একজন প্রবাসী, বর্তমানে কাতারে থাকেন। মোকসেদার ননদ লিপি বেগম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখনো বেঁচে আছে শুধু একটি শিশু, তবে তার অবস্থাও ভালো নয়।’
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্র জানায়, ছয়টি নবজাতকের মধ্যে তিনটি ছেলে ও তিনটি মেয়ে। তারা সবাই ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়— যাকে ডাক্তারি ভাষায় বলে ‘প্রিম্যাচিউর বেবি’। প্রত্যেক শিশুর ওজন ছিল মাত্র ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামের মধ্যে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম। ফলে জন্মের পর থেকেই তাদের অবস্থা ছিল সংকটজনক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটে আইসিইউ বেড খালি না থাকায় তিন নবজাতককে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র শিশুটি সেখানেই চিকিৎসাধীন।
মন্তব্য করুন