কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২০ পিএম
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:২৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল

জুলাই সনদ স্বাক্ষর। ছবি: সংগৃহীত
জুলাই সনদ স্বাক্ষর। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সনদে স্বাক্ষর করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা।

রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষরের পর সবার উদ্দেশে সেটি প্রদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

জানা গেছে, বিএনপির পক্ষ থেকে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর।

জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ছিলেন নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ।

এ ছাড়া গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান জোনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না এবং গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকেও মঞ্চে দেখা গেছে। তবে ‘সনদের আইনি ভিত্তি নেই’—এই যুক্তি দেখিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সনদে স্বাক্ষর না করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

এর আগে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, আমরা ঐতিহাসিক জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুত। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে অনুষ্ঠান শুরু হতে কিছু সময় বিলম্ব হতে পারে। সবকিছু ঠিকঠাক আছে এবং অতিথিদের অনেকেই ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে গেছেন। আমরা আমাদের ইতিহাসের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা প্রত্যক্ষ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।

এর আগে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় প্রবেশ করা জুলাই যোদ্ধাদের ধাওয়া দিয়ে ওই এলাকা থেকে বের করে দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। এরপর পুরো সংসদ ভবন ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তা বাহিনী।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ১টা ২৬ মিনিটের দিকে জুলাই যোদ্ধা দাবি করা একটি পক্ষ ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। দুপুর ২টার পর পর্যন্ত চলতে থাকে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া।

জানা যায়, গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়া জুলাই যোদ্ধাদের মঞ্চ এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে তারা সংসদ ভবন এলাকার বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং লাঠি হাতে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দেন।

এর আগে, শুক্রবার সকালে ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধা’ ব্যানারে অনেকেই সংসদ ভবনের ১২ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা গেট টপকে ভেতরে প্রবেশ করে মঞ্চের সামনে অতিথিদের চেয়ারে বসে স্লোগান দিতে থাকেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ওয়াইফাইয়ের গতি কমলে বাড়াবেন যে উপায়ে

বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ঢাকার রাশিয়ান হাউসের

বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারতের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধবীরদের বিনিময় সফর

যুবলীগের দুই নেতা কারাগারে

জবিতে রাজাকারদের প্রতীকী ছবিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি

‘সরকার-পুলিশের ওপর নির্ভর করে জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না’

মহাসড়কে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ২

ঝড়ো হাওয়ায় ভেঙে পড়ল ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টির’ রেপ্লিকা

শরীয়তপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধার কবরে আগুন, এলাকায় চাঞ্চল্য

স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির আস্ফালনের মধ্যেই বিজয় দিবস, তবু মানুষ প্রস্তুত : প্রিন্স

১০

চুল পড়া কমান ঘরোয়া উপায়ে

১১

উল্লাসে ভাসছেন রণবীর সিং

১২

পুলিশের বিশেষ অভিযানে আ.লীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার

১৩

বিজয় দিবসে বিটিভির দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন

১৪

গণতন্ত্রের পথে নতুন যাত্রার সময় এসেছে : উপদেষ্টা রিজওয়ানা

১৫

লন্ডনে তারেক রহমানের শেষ কর্মসূচি মঙ্গলবার

১৬

৭১ এবং চব্বিশের দালালদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আছি : নাহিদ

১৭

প্রথম দেখাতেই মানুষ চিনে নিন ৫ মনোবিজ্ঞানভিত্তিক ট্রিকসে

১৮

কুয়াশা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের বার্তা

১৯

ফের বিপাকে শিল্পা শেঠি

২০
X