দুই বছরের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় দুই লাখ গাছ রোপণের ঘোষণা দিয়েছিলেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। এরই অংশ হিসেবে ডিএনসিসি এলাকার ১৫টি বস্তিতেও গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসাইন জানান, ঘোষণা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ডিএনসিসি এলাকায় গাছ লাগানো হচ্ছে। ১৫টি বস্তিতে দেশীয় প্রজাতির প্রায় ৩৫ রকম ফল, ফুল, কাঠ ও ঔষধি গাছ রোপণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বস্তিতে প্রায় ৩ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় পরিকল্পিতভাবে বৃক্ষরোপণ করতে তিনটি সংস্থার সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ডিএনসিসি। সংস্থা তিনটি হলো লঙ্কাবাংলা, গ্রিন সেভারস ও কমিউনিটি টাউন ফেডারেশন। শেভরন বাংলাদেশের অর্থায়নে ওই বৃক্ষরোপণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
মকবুল হোসাইন জানান, চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিনের সরাসরি তত্ত্বাবধানে কাজটি চলমান রয়েছে। লঙ্কাবাংলা থেকে প্রাপ্ত গাছগুলো রোপণে সহযোগিতা করছে গ্রিন সেভারস্। বৃক্ষরোপণে আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছে শেভরন বাংলাদেশ। রোপিত গাছগুলোর পরিচর্যা ও তদারকির দায়িত্বে রয়েছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে গঠিত ঢাকা উত্তর কমিউনিটি টাউন ফেডারেশন।
এর আগে মেয়র আতিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, আমরা বুঝতে পারছি যে- কি হিটের (গরম/তাপদাহ) মধ্যে আছি। তাই পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় দুই লাখ গাছ লাগাব। এর জন্য নগরবাসীর সাহায্য ও সহযোগিতা চাই। আর নগরের যে খালগুলো দখল হয়ে গেছে সেগুলো উদ্ধার করে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। গাছ ও পানির প্রবাহ- তবেই নেচার বেজড্ সলিউশনে আমরা নগরকে ঠান্ডা রাখতে পারি।
মেয়র বলেন, মানুষ যেমন অন্যের সন্তানকে লালন-পালনের জন্য দত্তক নেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনও তেমনি সড়কগুলো গাছ লাগানোর জন্য দত্তক দেবে। যে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা গাছ লাগানো ও পরিচর্যার জন্য এসব সড়ক দত্তক নিতে পারে। এই উদ্যোগ পরিবেশকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে।
অন্যদিকে নগরীর তাপ কমাতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাথে ‘চিফ হিট অফিসার’ হিসেবে কাজ করছেন মেয়র আতিকুল ইসলামের মেয়ে বুশরা আফরিন। এশিয়ার প্রথম শহর হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটিতে চিফ হিট অফিসার (সিএইচও) হিসেবে তিনি কাজ করছেন।
মন্তব্য করুন