সিলেট ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রাথমিক ফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছেন। এর আগে বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুই সিটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হয়।
সবশেষ পাওয়া খবরে জানা যায়, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে পাওয়া ৫৬ কেন্দ্রের ফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৯৫১টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৪২১টি ভোট।
রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ৫৬ কেন্দ্রের ফলে এ তথ্য জানা গেছে।
অন্যদিকে সিলেট সিটি করপোরেশনের ১৯০ কেন্দ্রের মধ্যে ৮০ কেন্দ্রের ফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৬২৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল লাঙল প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ২৩৭ ভোট।
সিলেটের জালালাবাদ গ্যাস অডিটোরিয়ামে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সাল কাদির।
নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী না থাকা এবং সর্বশেষ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোট বর্জন করার পাশাপাশি বৃষ্টির বাগড়ায় ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কা ছিল। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে ভোট শুরুর এক-দুই ঘণ্টা পরেই কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে শুরু করে।
কোথাও বড় ধরনের কোনো সহিংসতার তেমন খবর পাওয়া যায়নি। তবে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।
এদিকে বৃষ্টির কারণে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়। ভোট শুরু হওয়ার তিন ঘণ্টা পরই শুরু হয় বৃষ্টি। বেলা ১১টা থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি চলে পৌনে ১২টা পর্যন্ত।
রাজশাহী সিটি নির্বাচনে এবার মেয়র পদে প্রার্থী তিনজন লড়ছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল) ও জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল)। তবে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) আগেই নির্বাচন বয়কট করেছেন।
অন্যদিকে সিলেট সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৪২টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৭৩ ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ৮৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৭৯ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ নগরীতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৯০টি এবং ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩৬৪টি।
২০০২ সালে সিলেট সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত চারবার নির্বাচন হয়েছে। ২০০৩ সালে প্রথম নির্বাচনে বিজয়ী বদরউদ্দিন কামরান ২০০৮ সালের দ্বিতীয় নির্বাচনেও কারাগার থেকে মেয়র নির্বাচিত হন। ২০১৩ সাল থেকে মেয়র পদে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী। তবে এবার তিনি দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনে প্রার্থী হননি।
এবার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম (বাবুল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মাহমুদুল হাসান (বর্জন করেছেন), জাকের পার্টির প্রার্থী জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা, শাহ জাহান মিয়া, ছালাহ উদ্দিন ও আবদুল হানিফ।
মন্তব্য করুন