মেট্রোরেলের ভেতরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের দৃষ্টিকটু বিজ্ঞাপনী পোস্টারের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক মঙ্গলবার বলেন, ডিএমটিসিএলের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) খোন্দকার এহতেশামুল কবীরকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি কতটুকু জায়গায় বিজ্ঞাপন লাগানো হয়েছে, কতটুকু বরাদ্দ ছিল, তা খতিয়ে দেখবে।
এমএএন ছিদ্দিক আরও বলেন, সব দেশেই মেট্রোরেলের আয় বাড়াতে বিজ্ঞাপন থাকে, বাংলাদেশেও থাকবে। এ ছাড়া ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ সূত্র জানিয়েছে, অনুমতি নিয়েই ট্রেনে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার উত্তরা থেকে মিরপুর হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত এখন মেট্রোরেল চলছে। এই মেট্রোরেল কাঠামোর ট্রেনের ভেতরে দৃষ্টিকটুভাবে বিজ্ঞাপনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সোমবার ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। কেউ কেউ মেট্রোরেলে বিজ্ঞাপন দেওয়া প্রতিষ্ঠানের সমালোচনা করেন। কেউ কেউ এভাবে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সুযোগ দেওয়ায় ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তাদের সমালোচনা করেন।
এমন পরিস্থিতিতে কমিটি গঠনের খবর জানা গেল। অবশ্য ডিএমটিসিএলের ওয়েবসাইটে গত ৪ জুনের একটি দরপত্র বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়। সেখানে মেট্রোরেলের অভ্যন্তরে বিজ্ঞাপনের দরপত্র প্রস্তাব আহ্বান করা হয়।
এতে বলা হয়, উত্তরা-মতিঝিল পথে চলাচলকারী এমআরটি লাইন-৬-এর ২৪ সেট মেট্রোরেলের ভেতরে নির্ধারিত আলোকিত ও অনালোকিত বিজ্ঞাপনের জায়গা ভাড়া দেওয়া হবে। প্রতি সেট ট্রেনের ভেতরে ৬০টি আলোকিত মনিটর (মোট ৩ দশমিক ৩১৭ বর্গমিটার জায়গা) হিসাবে ২৪ সেট ট্রেনে মোট ৭৯ দশমিক ৬১ বর্গমিটার জায়গা ভাড়া নিতে পারবেন আগ্রহীরা। এ ছাড়া প্রতি সেট মেট্রোরেলের ভেতরে প্রায় ৪৬৪ অনালোকিত জায়গা (একেকটিতে সাড়ে ৩২ বর্গমিটার) হিসাবে ২৪ সেট ট্রেনে ৩ হাজার ১৮০ বর্গমিটার জায়গা ইজারা দেওয়া হবে।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, ৫ কোটি টাকায় বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন এজেন্সি মিডিয়া কমের সঙ্গে ডিএমটিসিএলের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে।
এ বিষয়ে কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আবদুর রউফ জানিয়েছেন, এটা আমাদের বিজনেস প্লানিংয়ের একটা অংশ। উন্নত বিশ্বেও মেট্রোরেলে বিজ্ঞাপনের প্রচলন আছে। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই আমরা শুরু করেছি। এতে করে মেট্রোরেলের খরচ কমে আসবে বলে আমরা মনে করছি।
মন্তব্য করুন