স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত ক্ষণে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হ্ত্যা করেও মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ঠেকানো যায়নি, বর্তমান সরকার গুম, খুন ও শ্বেত সন্ত্রাসের মাধ্যমে পাতানো প্রহসনের নির্বাচন করলেও নিজেদের পতন ঠেকাতে পারবে না বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি ‘এবি পার্টি’। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভে ফুলেল শ্রদ্ধাজ্ঞাপনকালে এসব কথা বলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মেজর অব. আব্দুল ওহাব মিনার।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বিজয়নগরস্থ এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে শোক ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। দলের নেতাকর্মীরা কালো পতাকা হাতে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জড়ো হন। তারা ১৪ ডিসেম্বর ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদাত বরণকারী বুদ্ধিজীবী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে দোয়া, প্রার্থনা ও শ্রদ্ধাভরে তাদের অবদান স্মরণ করেন। কেন্দ্রীয় অফিস থেকে শোকাহত নেতাকর্মীরা পরে রায়েরবাজার বধ্যভূমি অভিমুখে রওয়ানা হন। শোক মিছিল সহকারে তারা বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভে ফুলেল শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
ফুলেল শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. মেজর অব. আব্দুল ওহাব মিনার ও সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। ডা. আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদাররা যখন দেখল তাদের পরাজয় অবধারিত তখন তারা কাপুরুষোচিত কায়দায় রাতের অন্ধকারে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে আমাদের মনোবল ভেঙে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু এই নৃশংসতা উল্টা তাদের নৈতিক পরাজয় ডেকে এনেছে। সেদিনকার বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড বাংলার মানুষকে আরও বেশি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার পাকিস্তানি শোষকদের মতো একই পদ্ধতিতে গুম, খুন, গ্রেপ্তার ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে গণতন্ত্রকামী মানুষকে দমন করতে চায়। তারা মনে করেছে তাদের দুর্নীতি, লুটপাট ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সব আওয়াজকে তারা থামিয়ে দিবে। তবে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে বাংলার মানুষের বিজয় ঠেকানো যায়নি, প্রহসনের নির্বাচনও স্বৈরতন্ত্রের পতন ঠেকাতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
এ সময় দলীয় নেতাদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন, এবি পার্টির সিনিয়র সহকারী সদস্যসচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, যুবপার্টির আহবায়ক এবিএম খালিদ হাসান, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্য সচিব এস এম আক্তারুজ্জামান, হাদিউজ্জামান খোকন, উত্তরের সদস্য সচিব ফিরোজ কবির, দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, সহকারী অর্থ সম্পাদক সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, যুবপার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব মাসুদ জমাদ্দার রানা, সুলতানা রাজিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সেলিম খান, রুনা হোসাইন, শাহীনুর আকতার শীলা, আফ্রিদ হাসান তমাল, ফেরদৌসী আক্তার অপি, আব্দুর রব জামিল, আমানুল্লাহ সরকার রাসেল, পল্টন থানা আহবায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, যাত্রাবাড়ী থানা সমন্বয়ক সিএম আরিফসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
মন্তব্য করুন